খবির হোসেন চৌধুরী
নভেম্বর ১, ২০২১, ০৮:১০ এএম
আজ কেমন যেন অচেনা পথের পথিক তুমি
চোখের পাতায় কালো মেঘের স্থির ছাঁয়া,
কবিতার খাতা নিরালায় বেদনায় বাকরুদ্ধ
কলম থেকে অশ্রু ঝরে অজানা শঙ্কায়।
গানের কথা সুরহীন অগুছালো এলোমেলো;
যেন পথ শিশুর মত অনুভুতিহীন কান্না হাসি!
নির্মল অনুভবের নয়নে ক্ষীণদৃষ্টির চাদরে ঢাকা,
ঘোড়ার পায়ের কর্কশ শব্দে, অশান্ত অস্থির মন
কিংকর্তব্যবিমুঢ় তরল প্রাণের সরল কবি।
যে বাগানে ফুটতো অনুভূতির লাল গোলাপ গুচ্ছ,
শেফালির ঘ্রাণে প্রতিটি কক্ষ ছিল পরিপূর্ণ,
জ্যোৎস্নার রুপালি আলোয় ভাসতো প্রতিদিন,
সে স্বপ্নসুর গানের আঙিনা নিরব নিস্তব্দ।
প্রতিকূলতায় শক্তিমান সেনা, তোমার মনের মাঝি
পাল তুলে ঢেউয়ের তালে ভেসে বেড়িয়েছ তুমি
শান্তির রথে কবিতার পাখায় উড়েছ অবিরত।
সেই তোমাদের কথা ভাবি দূরের পথে বসে আমি।
আলোর পথের পথিক সে যে, থমকে দাঁড়াল হঠাৎ,
সুনামির আগাম সতর্ক বার্তায় অস্থির সকল সুহৃদ।
আকস্মিক ঝড়োহাওয়া, ভূকম্পন, বজ্রপাত
আকাশ ভেঙে পড়লো মূহূর্তেই মায়াময়ী মাটিতে,
যেন নিঃশ্বেষ হয়ে যাবে এই সভ্যতার সবুজ ভূমি।
এক অচেনা পথে নিরস্ত্র অকুতোভয় যোদ্ধা তুমি,
অগ্নিঝড়ে ভাঙছে তোমার ছন্দসুখের নীলয়,
অনভ্যস্থ এই কঠিন যুদ্ধে, ভাঙনি তুমি মোটেও!
প্রতিরোধের প্রণান্তকর চেষ্টায় তুমি অস্থির অবিরত,
মুক্তির দুর্ভেদ্য পথে, তুমি শক্তির আকাশযাত্রী।
কবিতার দূর্বার শক্তি, প্রতিটি অক্ষর তোমার পাশে,
শুভ কামনার ঘ্রাণ ছড়াচ্ছে প্রস্ফুটিত মায়াবী ফুল,
পাখিদের প্রাণপণ উদাত্ত হাতে নির্মোহ যোগাযোগ,
যেন ভালোবাসার প্রভাত সূর্যের অকৃত্তিম আমন্ত্রণ।
তোমার শক্তির স্রোতের বিপরীতে, কৃপার দরবারে
আমরাও রেখেছি, আমাদের প্রার্থনার দুটি হাত।
শুভ কামনার সদর দরজা রেখেছি, সকলে খুলে
প্রিয়জন হাসবে, আবার ভাসবে, তোমায় নিয়ে।
অবশেষে প্রার্থনার আকূতি মিনতির বন্ধন ছিন্ন করে,
চলে গেলে সে একান্ত আপন অনন্ত ঠিকানায়!
রেখে দিলাম ফুল দানিতে তার সৃষ্টি, ঐতিহ্যের নির্যাস।
লেখা: খবির হোসেন চৌধুরী, যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা। ভোলা।
আমারসংবাদ/এমএস