কাগজের মূল্যবৃদ্ধি: ঢাবিতে কলাপাতায় লিখে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: নভেম্বর ১৫, ২০২২, ১২:২৮ এএম
কাগজের মূল্যবৃদ্ধি: ঢাবিতে কলাপাতায় লিখে শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ

সারাদেশে কাগজ কলমসহ শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে হাতে কচুপাতা ও কলাপাতা নিয়ে বিক্ষোভ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে সোমবার (১৫ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় এ সমাবেশ হয়।

ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক মাহির শাহরিয়ার রেজার সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন সাংগঠনিক সম্পাদক সুমাইয়া সেতু, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক কাজী রাকিব হোসাইন, ঢাকা মহানগর সংসদের সাধারণ সম্পাদক লাভলী হক, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের সাধারণ সম্পাদক শাওন বিশ্বাস।

এ সময় তারা শিক্ষামন্ত্রী ও বাণিজ্যমন্ত্রীকে শিক্ষা উপকরণের দাম নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ আখ্যায়িত করে তাঁদের অপসারণ দাবি করেন। অবিলম্বে কাগজসহ শিক্ষা উপকরণের দাম কমানো না হলে সর্বাত্মক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন তারা।

সমাবেশে বক্তারা বলেন, মাত্র পাঁচ-ছয় মাসের ব্যবধানে শিক্ষা উপকরণের দাম ৪০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত এবং কিছু উপকরণের দাম দ্বিগুণ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এ অবস্থায় তারা প্রশ্ন রাখেন, আদিম যুগে ফিরে শিক্ষার্থীরা কলাপাতায় লিখবে কিনা।

বক্তারা বলেন, করোনার মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থা মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। মানুষের খরচের বোঝা আরও ভারী হচ্ছে। নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানেরা পড়াশোনা চালাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছে, এমনকি পড়াশোনা বন্ধ করার মতো সিদ্ধান্তও নিচ্ছে। মূল্যস্ফীতির কারণে খাদ্যের বা নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার বিষয়টি যেভাবে আলোচনায় আসে, শিক্ষা উপকরণের দাম বাড়ার বিষয় সেভাবে আলোচনায় আসে না।

ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, ‘শিক্ষা উপকরণের দাম বৃদ্ধির ফলে দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণির ওপর যেমন বাড়তি চাপ পড়ছে, তেমনি অনেক নিম্নবিত্ত পরিবারের সন্তানদের লেখাপড়া বন্ধ হওয়ারও উপক্রম হয়েছে।’

সভাপতির বক্তব্যে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাইফ রুদাদ বলেন, ‘সর্বক্ষেত্রে শিক্ষাকে পণ্যে রূপান্তরের পাঁয়তারা করছে সরকার। বাষট্টির শিক্ষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে যে আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল, তার সমাপ্তি হয়েছিল সামরিক শাসক আইয়ুব খানের পতনের মধ্য দিয়ে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে আঘাত করে কোনো সরকারই ক্ষমতায় টিকতে পারেনি। টাকা যার শিক্ষা তার, এই নীতি মানি না। সব শিক্ষা উপকরণের দাম কমাতে হবে।’

ইএফ