শহীদ মিনারে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ২০, ২০২৩, ০৬:৩৮ পিএম
শহীদ মিনারে জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই: র‌্যাব মহাপরিচালক
  • রাত ১২ টার পর প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির পুষ্পস্তবক অর্পণ

একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কোনো জঙ্গি হামলার আশঙ্কা নেই উল্লেখ করে র‌্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন বলেন, কোনো গোয়েন্দা সংস্থা বা আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা এমন কোনো হুমকির আলামত দেখছে না। তবে এ ব্যপারে আমাদের নজরদারি অব্যাহত রয়েছে।

সোমবার (২০) ফেব্রুয়ারি বিকেলে জাতীয় শহীদ মিনার থেকে থেকে সাংবাদিকদের সাথে মত বিনিময় সভা থেকে এসব তথ্য দেন,র্যাবের মহাপরিচালক এম খুরশিদ হোসেন।

আগামীকাল একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে জাতীয় শহীদ মিনারসহ সারাদেশের সকল শহীদ মিনারে কড়া নিরাপত্তায় থাকবে র‌্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন। নিরাপত্তার জন্য থাকবে চেকপোস্ট, ডগস্কয়াড, সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা সংস্থা এবং ইউনিফর্ম টহল।

র‌্যাব মহাপরিচালক জানান, মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ রাত বারোটার পর মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। করোনাকালীন সময়ে সেটা না পারলে ও এ বছর তারা স্বশরীরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এজন্য ও শহীদ মিনার এবং তার আশপাশে অধিকতর নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৩ মহান আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস (একুশে) ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে জাতীয় শহীদ মিনার সহ দেশের সকল শহীদ মিনারে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

আগামীকাল আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে নিরাপত্তার জন্য নির্ধারিত পদক্ষেপের ব্যাপারে 
র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপন উপলক্ষে সারাদেশে সব অনুষ্ঠানস্থল এবং কৌশলগত অবস্থান নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে নিম্নলিখিত কর্মসূচি আয়োজন করা হয়েছে।

২০শে ফেব্রুয়ারি দুপুর থেকে শহীদ মিনারে সারাদেশের স্ব-স্ব অধিক্ষেত্রে র‍্যাবের সকল ব্যাটালিয়ন নিয়োজিত রয়েছে। অগ্রিম নিরাপত্তার জন্য ১৮ ফেব্রুয়ারি থেকে র‌্যাবের সাদা পোশাকধারী গোয়েন্দা নজরদারির ব্যবস্থা রয়েছে। এবং ইউনিফর্ম টহলের মাধ্যমে শহীদ মিনারে নিরাপত্তা জোরদার ব্যবস্থা রয়েছে। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে র‌্যাব-৩ এর ব্যবস্থা উল্লিখিত অবজারভেশন পোস্ট এবং চেকপোস্ট স্থাপনের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করেছে।

শহীদ মিনারের সার্বিক নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ বিবেচনা করে র‌্যাবের বোম ডিসপোজাল ইউনিট এবং ডগ স্কোয়াড প্রযোজনীয় সুইপিং সম্পন্ন করবে। পাশাপাশি র্যাবের স্পেশাল ফোর্স ও হেলিকপ্টার প্রস্তত রয়েছে। বিভিন্ন এলাকা থেকে শহীদ মিনার মুখি সন্দেহভাজন মানুষদেরকে দেহ তল্লাশী এবং যথাযথ ব্যবস্হা নেওয়া হবে। শহীদ মিনারে আগত মহিলারা যেনো ইভটিজিংয়ের স্বীকার না হয় সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখা হবে। ভার্চুয়াল জগতে কোন ধরনের গুজব গুজবের বিরুদ্ধে র‌্যাবের সাহেবের মনিটরিং টিম কাজ করবে।

এছাড়াও র‌্যাবের সকল ব্যাটালিয়ান কন্ট্রোল রুম থেকে নির্দিষ্ট এলাকায় স্হানীয় প্রতিনিধিদের সাথে নিরাপত্তার ব্যপারে যোগাযোগ অব্যাহত রাখবে।

কেএস