ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকারের মশাল মিছিল

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২৩, ০৯:২৬ পিএম
ফিলিস্তিনে ইসরায়েলী হামলার প্রতিবাদে গণঅধিকারের মশাল মিছিল

ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েলের হামলার প্রতিবাদে রাজধানীতে মশাল মিছিল করেছে গণঅধিকার পরিষদ। রোববার সন্ধায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রীতম জামান টাওয়ারের সামনে থেকে মশাল মিছিল শুরু হয়। পল্টন মোড়ে এসে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে মিছিলটি শেষ হয়।

গণঅধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, "দখলদার ইসরাইলী বাহিনী খুনী ও হামলাকারী। ইসরায়েল গত ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে দখলদারিত্ব করে নিপীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। ফিলিস্তিনের নারী-শিশু কেউই রেহাই পাচ্ছে না এই ইহুদি দখলদার বাহিনী থেকে।

বাংলাদেশ সরকারের নিরবতাই প্রমাণ করে এই সরকার ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে। তারা ফিলিস্তিনের পক্ষে অবস্থান নিলে শক্তভাবে পাশে দাঁড়াত। আমি স্পষ্ট করে বলতে চাই, যারা বাংলাদেশের মাটিতে বসে ইজরায়েলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে আমরা রূখে দাড়িয়েছি।

আমরা শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনীদের স্বাধীন ভূখন্ড ফিরিয়ে দিতে বিশ্ববাসীকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে আওয়াজ তোলার আহবান জানাই। একই সাথে জানিয়ে দিতে চাই, বাংলাদেশে বসে কাউকে ইজরায়েলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন হতে দেওয়া হবেনা ইনশাআল্লাহ। "

গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ব্যারিস্টার জিসান মহসীন বলেন, "আমরা বিশ্বের সকল বিবেকবান গণতন্ত্র ও মানবাধিকার পন্থীদের অবৈধ দখলদারদের পক্ষ ত্যাগ করে নির্যতিত ফিলিস্ততিদের পক্ষে অবস্থান নেয়ার আহবান জানাই। পবিত্র ভূমিতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে ন্যায়ের পক্ষে অবস্থান নিতে হবে।"

যুগ্ম সদস্য সচিব আতাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশসহ বিভিন্ন দেশে কুখ্যাত মোসাদ এজেন্টদের সামাজিক ও রাজনৈতিকভাবে বয়কট ও প্রতিরোধ করতে হবে। ঢাকাতেও ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ রাজনৈতিক দলের ব্যানারে কাজ করছে, ঢাকায় কার্যালয় খোলার ঘৃণ্য চেষ্টা করছে। জনগণকে আহবান জানাই, ঢাকায় বেনামি মোসাদ কার্যালয় গুড়িয়ে দিয়ে মোসাদ এজেন্টদের প্রতিহত করে শান্তিপূর্ণ ফিলিস্তিনের পাশে দাড়ান।"

যুগ্ম সদস্য সচিব তারেক রহমান বলেন, "এই অবৈধ ঈজরাইলই আরব উপদ্বীপের শান্তি বিনষ্টের মূল। অবৈধ ঈজরাইলী দখলের বিরুদ্ধে মুসলিমদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। ইসরায়েলী পণ্য বর্জন করতে হবে। রাজনৈতিক, কূটনীতিক ও অর্থনৈতিকভাবে ইহুদিদের বর্বরতা রুখে দিতে হবে।"

বাংলাদেশের জনগণের অবস্থান তুলে ধরে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা লগ্ন থেকেই বাংলাদেশের মানুষ নীপিড়িত ফিলিস্তিনিদের স্বাধীন ভূখণ্ডের পক্ষে এবং ইসরাইলি দখলদারিত্ব ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আপোষহীন। এটা আমাদের জাতীয় কমিটমেন্ট। জাতীয় প্রতিশ্রুতির সঙ্গে বেইমানি করে বর্তমান সরকার পাসপোর্ট থেকে ’এক্সেপ্ট ইসরাইল’ শব্দটি বাতিল করেছে। আমরা অবিলম্বে সকল পাসপোর্টে এ শব্দ পুনসংযোজনের দাবি করছি। সেই সঙ্গে নানা কৌশলে ইসরাইলের দালালি প্রতিহত করার জন্য জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি।

মিছিলে আরো উপস্থিত ছিলেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা সাদ্দাম হোসাইন, জিয়াউর রহমান, ইমাম উদ্দীন, ইকবাল হোসেন সুমন, ছাত্র নেতা নায়েক নুর মোহাম্মদ প্রুমখ।

এইচআর