সিরাজগঞ্জে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

শুভ কুমার ঘোষ, সিরাজগঞ্জ প্রকাশিত: মে ২৩, ২০২২, ০৪:৩৪ পিএম
সিরাজগঞ্জে হত্যার দায়ে ৩ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

সিরাজগঞ্জে হত্যার দায়ে তিনজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সাথে প্রত্যেককে আরও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেয়া হয়। অনাদায়ে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০১ ধারায় প্রত্যেককে আরও ৭ বছরের সশ্রম কারাদন্ড এবং তিন হাজার টাকা অর্থদণ্ড অথবা অনাদায়ে আরও এক মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ডে দন্ডিত করেছেন আদালত।

সোমবার (২৩ মে) দুপুরে সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ১ম আদালতের বিচারক বেগম সালমা খাতুন এই রায় দেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আদালত পরিদর্শক মো. মোস্তফা কামাল।

যাজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, এনায়েতপুর থানার খুকনী কান্দিপাড়া গ্রামের মো. রইচ উদ্দিন প্রামানিকের ছেলে মো. আ. রহিম খলিফা (৫০), একই গ্রামের মৃত শুকুর আলী সরকারের ছেলে মো. আঃ রহমান (৪৮) ও মো. ওয়াজেদ আলীর ওরফে মধুর ছেলে মো. খুশি আলম ওরফে সাইফুল ইসলাম (৪২)।

মামলা সূত্রে জানা যায়, জেলার এনায়েতপুর থানার রূপনাই (গাছপাড়া) গ্রামের ইয়াসিন মোল্লার ছেলে ভিকটিম ইয়াকুব একই থানার খুকনী কান্দিপাড়া গ্রামের খুশি আলম ওরফে সাইফুল ইসলাম ও মো. আঃ রহিম খলিফার মেয়েদেরকে বিরক্ত করতো। সেই আক্রোশে গত ২০২০ সালের ৫ জানুয়ারী সন্ধ্যায় আ. রহিম খলিফা ও আঃ রহমান মিলে পরিকল্পিতভাবে ইয়াকুব আলীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেন এবং তার লাশ গুম করার জন্য খুকনী ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামে জনৈক মো. নুরু হাজী ও আ. কুদ্দুসের সরিষা ক্ষেতের সীমানায় ফেলে দেয়।

ঘটনার পরের দিন নিহত ইয়াকুব আলীর বাবা ইয়াসিন আলী এনায়েতপুর থানায় অজ্ঞাতনামা আসামীদের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্তের এক পর্যায়ে হত্যা মামলায় মো. আ. রহমানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে রহমান গ্রেপ্তার হওয়ার পর নিজেকেসহ এই হত্যাকাণ্ডে আরো দুইজনের জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডের বর্ণনা দেয়।

আদালত পরিদর্শক মো. মোস্তফা কামাল বলেন, দীর্ঘ সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি খুশি আলম ওরফে সাইফুল ইসলাম ও মো. আ. রহিম খলিফার উপস্থিতিতে এবং অপর আসামি আ. রহমান এর অনুপস্থিতিতে আজ আদালত এই রায় ঘোষণা করেন।

পরে আসামি খুশি আলম ওরফে সাইফুল ইসলাম ও মো. আ. রহিম খলিফাকে সাজা পরোয়ানা মূলে আদালত তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন। 

আমারসংবাদ/কেএস