গুরুদাসপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু, কমতে পারে দাম

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২, ০২:৫৩ পিএম
গুরুদাসপুরে চাহিদার চেয়ে বেশি কোরবানির পশু, কমতে পারে দাম

গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি, খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক, দেশ ব্যাপি বন্যার প্রকোপ এবং দ্রব্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে পশু কোরবানির সংখ্যা ও গরুর দাম কমতে পারে এমন আশঙ্কায় রয়েছেন খামারীরা।

আর কিছু দিন পরেই পবিত্র কোরবানির ঈদ। ঈদকে ঘিরে প্রস্তুত হচ্ছে খামারের পশুগুলো।গত দুই বছরের হাটের তিক্ততা ভুলে খামারীরা এবার নতুন স্বপ্ন নিয়ে গরুর পরিচর্যা করে যাচ্ছেন রাতদিন। ছোট বড় গরু, ছাগল, মহিষ, ভেড়া চাহিদা অনুযায়ী তারা তুলে দেবেন ক্রেতার হাতে।

গুরুদাসপুর উপজেলাার প্রানিসম্পদ অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৯০ হাজার ১১৫ টি কোরবানির পশু প্রস্তুত করছেন খামারিরা। উপজেলায় কোরবানির পশুর চাহিদা রয়েছে প্রায় ৩১হাজার ৬৯২ টি। চাহিদার চেয়ে সাড়ে ৫৮ হাজার ৪২৩বেশী!পশু বাইরে বিক্রি করতে পারবেন খামারিরা। 

উপজেলায় খামারের সংখ্যা- ২ হাজার ৩৫৪টি,খামারের মধ্যে ষাঁড়-২০ হাজার ২৩০ টি,বলদ-২ হাজার ৫৪৪ টি,মহিষ-৭৫৮ টি,ছাগল-৫৭ হাজার ২২২ টি, ও ভেড়া-৯ হাজার ৩৬১টি, সামনের ঈদুল আযহার কোরবানির জন্য প্রস্তুত করছেন। এসব পশুর বাজার মূল্য ধরা হয়েছে প্রায় ৫৩০ কোটি টাকা। এছাড়াও উপজেলায় মোট- ৫ হাজার ৫৮৩ টি গাভী রয়েছে। দুধের চাহিদাও মিটছে। 

উপজেলার ধারাবারিষা,বিয়াঘাট,খুবজিপুরপুর ও চাপিলার বেশ কিছু খামারীরা বলেন, আসন্ন কোরবানির জন্যে তারা সকলেই কোরবানির পশু গরু প্রস্তুত করছেন। বাজারে চাউলের চেয়ে গবাদি পশুর খাদ্যের দাম বেশী। এছাড়া লেবার সহ অন্যান্য খামার ব্যবস্থাপনার খরচ অস্বাভাবিক বেড়ে গেছে। বর্তমানে গরুর বাজারমূল্য মোটামুটি আছে। তবে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে বাজারমূল্য নিয়ে আশংকায় রয়েছেন।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. আলমগীর হোসেন বলেন, কোরবানির দিন এগিয়ে আসার সাথে সাথে বাণিজ্যিক খামার ও পশুর সংখ্যাও বাড়ছে। বাজারে সব ধরনের গো খাদ্যের দাম বেড়েছে। তাই কৃষক ও খামারিদের গবাদি পশুকে কাঁচা ঘাস খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সেই সাথে খামারিদের প্রশিক্ষণ করানো হয়েছে। এবছর কোরবানির পশুর ভালো দাম পেলে খামারীরা লাভবান হবেন এবং তাদের মুখে হাসি ফুটবেন বলে তিনি আশাবাদী।

আমারসংবাদ/এআই