আল্লাহ বাবর বাবাকে হাজার বছর হায়াত দেন

চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রকাশিত: জুন ২৪, ২০২২, ০৫:৩৭ পিএম
আল্লাহ বাবর বাবাকে হাজার বছর হায়াত দেন

আসমা বিবি। বয়স ষাটোর্ধ্ব। পরিবার পরিজন অনেক থাকা সত্ত্বেও বর্তমানে কেউ নেই। তবে নিজের ভরণপোষণ নিয়ে কখনো দুশ্চিন্তায় ভোগেন না । কারণ তার বাবা সন্তান সবকিছু হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। আসমা বিবি দুহাত তুলে প্রার্থনা করেন সৃষ্টিকর্তা যেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরকে হাজার বছর হায়াত দারাজ করেন। 

শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে আসমা বিবি হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের জন্য দোয়া করতে দেখা যায়। কেন তার এই প্রার্থনা জানতে চাইলে, জবাবে বলেন, আমার সন্তান সন্তানি এমনকি নাতি নাত্নিও আছে। তবে আমাকে দেখার কেউ নেই। বাবর বাবার কাছে যখনই ছুটে যাই কখনো ফেরান না। যখন যে দাবী করি। যত টাকা চাই দুহাত মেলে দেন। এই দেশে এমন ব্যক্তি আর কেউ নেই।

শুধু আসমা বিবি নয়। রেজিয়া আক্তার। একই বয়সের। তিনিও হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের  হায়াতের জন্য প্রার্থনা করেন। তবে কেন তাদের প্রার্থনা। 

রেজিয়া আক্তার বলেন, আমাদের ভিক্ষাবৃত্তি করতে হয় না। সারা বছর জুড়ে বাবর আমাদের নিজের  মায়ের মত সবকিছু দেখভাল করেন। ভিক্ষাবৃত্তি করতে গিয়ে অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে আমাদের। তবে তার মত উধার ভাবে দান করতে এ পর্যন্ত কাউকে দেখিনি। তার জন্য দোয়া না করে কার জন্য করবো। বশির আহমদ। একটু মানসিক ভারসাম্যহীন। তিনিও হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর ছাড়া কিছুই বোঝেন না। 

ভাঙ্গা ভাঙ্গা কথায় বলেন, বাবর তাকে কখনোই ফেরান না। কাপড়চোপড় টাকাপয়সা যখন যা লাগে সব কিছু দেন। এভাবে একজন দুজন নয় একের পর এক তাদের অনুভূতি প্রকাশ করেন হেলাল আকবর চৌধুরী বাবরের ব্যাপারে। তাদের প্রত্যেকের বক্তব্য প্রায় একই রকম। করোনা  ঈদ রমজান বা যেকোনো দুঃসময়ে পাশে দাঁড়ান হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর। সাধারণ মানুষের প্রতি তার দরদ ভালোবাসা যে কোন মানুষকে ভাবিয়ে তোলে। 

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জীবনে অনেক পেয়েছি। সাধারণ মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে নিজের জীবনের সার্থকতা ফুটে ওঠে। দেখুন, আমি আপনি দুই এক বেলা না খেয়ে থাকলে কেমন লাগে। আমরা যেমন মানুষ তারও মানুষ। আল্লাহ সবাইকে সবকিছু দেন না। আমি আপনি বা অন্য কেউ, কাউকে কোনো কিছু দান বা খাওয়ানোর  অর্থ এই নয় যে তাদের জন্য আমরা দিলাম। এগুলো তাদের হক। আল্লাহ পাক কোন না কোন মাধ্যমে তাদের কাছে পৌঁছে দিচ্ছেন। আমার বা আপনার বা কারো কাউকে দেওয়ার ক্ষমতা নেই। আমার জীবনের শেষ নিশ্বাস পর্যন্ত সাধারণ মানুষের হাসি ফোটানোর জন্য আমি সবকিছু করে যাব।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের সাবেক উপ অর্থ বিষয়ক সম্পাদক হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, করোনা বুথ উদ্ভাবন করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন সারা দেশ জুড়ে। করোনার সময় সাধারণ মানুষের জন্য এবং করোনা রোগীদের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর নগরীর মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন। পবিত্র রমজান মাসে প্রতিদিন হাজার হাজার রোজাদারদের ইফতার সেহরি দেওয়াসহ ঈদের পোশাক এবং সাধারণ মানুষের জন্য ফ্রী ঈদবাজার ইত্যাদি ইত্যাদি করে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে সফল ও জনপ্রিয়তার শীর্ষে রাজনীতিবিদ এবং মানবতার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে প্রত্যেক মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন। তিনি একমাত্র রাজনীতিবিদ ৩৬৫ দিন ২৪ ঘন্টা মানব সেবাই নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন।

কেএস