মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মদনমোহনপুর চা বাগানের খ্রিস্টান লাইনের মিশনারী কমিউনিটি স্কুলের শিক্ষক আদিবাসী রঞ্জিত রাফায়েল মান্ডা (৩৭) এর লাশ পুকুর থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে হাজারিবাগ গারো টিলার খ্রিস্টান পল্লীর একটি পুকুর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। নিহত রঞ্জিত খ্রিস্টান পল্লীর আমেন আমরোশ মান্ডা ও সাবেক ইউপি সদস্যা পারুল কুরাইয়ার বড় ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, গত বৃহস্পতিবার রাতে বন্ধু পৌলিনুস মান্ডার ছেলের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যোগদান করেন রঞ্জিত শিক্ষক রাফায়েল মান্ডা। কর্মস্থল মদনমোহনপুর চা বাগানের মিশনারী কমিউনিটি স্কুল থেকে নিজের বাইক নিয়ে ওই অনুষ্ঠানে তিনি যোগদান করেন। তাই তার পরিবারের কেউ জানতো না সে কর্মস্থল থেকে ওই অনুষ্ঠানে যোগদানের কথা। এভাবেই কেটে যায় শুক্রবার। এ সময়ের মধ্যে তার পরিবারের সদস্যরা জানতো না সে কোথায়। তার স্ত্রী মিশনারী স্কুলের শিক্ষিকা ট্রেনিংয়ে রাজশাহীতে রয়েছেন। ছোট ভাই মেকলি মান্ডা থাকেন ঢাকার ধানমন্ডিতে। শুক্রবার রাতে অসুস্থতার কারণে মেকলি মান্ডা বাড়ি ফিরেন। পরিবারের লোকজন রাতে আর তার খোঁজ করেননি।
শনিবার সকালে বন্ধু পৌলিনুস মান্ডার বাড়ির পুকুরে ভাসমান অবস্থায় মিলে রঞ্জিতের মরদেহ। খবর পেয়ে কমলগঞ্জ থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ মৌলভীবাজার মর্গে প্রেরণ করেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রঞ্জিতের দেহ বিকৃত হলেও তার ঘাড়ে আঘাত ও দাঁত ছিলো ভাঙ্গা। মুখমন্ডল ও চোখে আঘাতের চিহ্ন স্পষ্ট ছিল। রঞ্জিতের ব্যবহৃত মোটরসাইকেল ছিল তার বন্ধু পৌলিনুস মান্ডার আঙিনায়। তার ঘরে ছিল তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন এবং সাইট ব্যাগটি।
রঞ্জিতের মা স্থানীয় মাধবপুর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি সদস্যা পারুল কুরাইয়া বলেন, আমার ছেলেকে মেরে ফেলা হয়েছে। এ কথা বলেই জ্ঞান হারান তিনি। পানিতে ডুবে রঞ্জিতের মৃত্যুর ঘটনাটি স্থানীয়রা রহস্যজনক বলে মনে করছেন।
কমলগঞ্জ থানার ওসি ইয়ারদৌস হাসান বলেন, এ বিষয়ে পুলিশী তদন্ত চলছে। জন্মদিনের অনুষ্ঠানে যারা ছিলেন তাদের সাথে কথা বলে ঘটনার কারণ জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
কেএস