টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ, ২ জনের জবানবন্দি

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি প্রকাশিত: আগস্ট ১১, ২০২২, ১১:২৭ এএম
টাঙ্গাইলে বাসে ডাকাতি ও গণধর্ষণ, ২ জনের জবানবন্দি

টাঙ্গাইলের মধুপুরে ঈগল এক্সপ্রেস পরিবহন নামের একটি নৈশকোচে যাত্রীবেশে ডাকাতি ও দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় সোহাগ ও বাবু নামের আরো দুই আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

বুধবার (১০ আগস্ট) বিকালে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক নওরিন করিমের আদালতে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এর আগে মঙ্গলবার সোহাগ ও বাবুসহ ৬ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৩ দিনের রিমান্ডে নেয় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ। এর মধ্যে দুইজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলো। বাকি ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত মামলায় মোট ৯ জন আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মো. হেলাল উদ্দিন জানান, জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গতকাল আদালতে ৬ জন আসামির ৭ দিনের রিমান্ডে চাওয়া হলে আদালত তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে। এদের মধ্যে সোহাগ মন্ডল ও বাবু আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। বাকি ৪ জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।

প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার (২ আগস্ট) কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল পরিবহনের একটি বাস সিরাজগঞ্জ পৌঁছলে যাত্রীবেশি ডাকাতরা গাড়িতে উঠেন। টাঙ্গাইল অতিক্রম করার পর তারা অস্ত্রের মুখে বাসের নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে যাত্রীদের টাকা পয়সা, মুঠোফোন, গহনাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটে নেন। এ সময় বাসের এক নারী যাত্রী গণধর্ষনের শিকার হন। পরে বাসটি টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার রক্তিপাড়া নামক স্থানে সড়কের পাশে খাদে পড়ে যায়। এ ঘটনায় ওই বাসের যাত্রী হেকমত আলী বাদী হয়ে বুধবার(৩ আগস্ট) মধুপুর থানায় ডাকাতি ও ধর্ষণের মামলা করেন।

বৃহস্পতিবার ভোরে পুলিশ টাঙ্গাইল শহরের দেওলা এলাকার ভাড়াবাসা থেকে ডাকাত দলের সদস্য বাস চালক রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করে। শুক্রবার গাজীপুরের কালিয়াকৈর থেকে মো. আওয়াল ও নুরনবীকে গ্রেপ্তার করে। শনিবার ওই তিন আসামী আদালতে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেন। পরে তাদের কারাগারে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

আমারসংবাদ/এসএম