বিয়ে গেট পছন্দ না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০

মো. মাসুম বিল্লাহ প্রকাশিত: আগস্ট ১৮, ২০২২, ০৯:৫৩ পিএম
বিয়ে গেট পছন্দ না হওয়ায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সংঘর্ষ, আহত ২০

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে বিয়েবাড়ির গেটের ডিজাইন পছন্দ না হওয়াকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৮ আগস্ট) বিকেলে বিবাদমান দুই গ্রামের ৮ শতাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে পুলিশের পক্ষ থেকে নবীনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

এলাকাবাসী জানায়, সীতারামপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর মেয়ে সুইটি আক্তারের বিয়ে উপলক্ষে আগের দিন রোববার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বাড়িতে ডেকোরেশনের কাজ চলছিল। ডেকোরেশনের কাজ করছিলেন দৌলতপুর গ্রামের সোহেল মিয়া। বিয়েবাড়ির গেটের ডিজাইন পছন্দ না হওয়ায় ডেকোরেশন কর্মী সোহেলের সঙ্গে কনের দুই ভাই রাজু ও রুমানের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে ডেকোরেশন কর্মী সোহেলকে মারধর করেন তারা।

পরে সোহেলকে মারধরের ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। এ ঘটনার জের ধরে দৌলতপুর ও সীতারামপুর গ্রামের কয়েশ‍‍` মানুষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। সংঘর্ষ চলাকালে সীতারামপুর বাজারে দোকানপাট ভাঙচুর এবং লুটপাট করা হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলেও অগ্নিসংযোগ করেন তারা। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়। খবর পেয়ে নবীনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে প্রায় দুই ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এ ঘটনায় নবীনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান বাদী হয়ে শতাধিক ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ৮০০ জনকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর দুই গ্রামের সাধারণ মানুষের মাঝে পুলিশি আতঙ্ক বিরাজ করছে।

দৌলতপুর গ্রামের আব্দুল আলিম অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ এসে গ্রামের মানুষের ধরে নিয়ে যাচ্ছে। এতে আতঙ্কে আছে গ্রামবাসী।

অপরদিকে সীতারামপুর গ্রামের বাসিন্দা জোহরা খাতুন বলেন, বিয়েবাড়ির গেটের ডিজাইন নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রামের মানুষ অশান্তিতে আছে।

এদিকে কৃষ্ণনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুফতি আমজাদ হোসেইন আশরাফী জানান, সংঘর্ষের খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

নবীনগর থানর উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, বর্তমানে এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। এছাড়া যারা এ ঘটনায় জড়িত তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এখন পর্যন্ত ৭ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

মামলায় কনের বাবা জিন্নাত আলীকে প্রধান আসামি করে ১২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত পরিচয়ধারী আরও ৮০০ জনকে আসামি পুলিশের পক্ষ থেকে নবীনগর থানায় মামলা দায়ের করা হয়।

আমারসংবাদ/এসএম