দাকোপে নদী গর্ভে বিলিন ৮ দোকান ঘর ও ৩ বসত বাড়ি

দাকোপ (খুলনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২২, ০৭:৪৫ পিএম
দাকোপে নদী গর্ভে বিলিন ৮ দোকান ঘর ও ৩ বসত বাড়ি

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্ন চাপের প্রভাবে উত্তাল খুলনার দাকোপের করোস্রোতা পশুর, শিবসা, ঢাকী, চুনকুড়ি,বাদুর গাছা নদী। নিম্ন চাপের প্রভাবে নদীর পানি স্বাভাবিক অপেক্ষা ৪ থেকে ৫ ফুট বৃদ্ধি ও প্রবল জোয়ারের তোড়ে (গত ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার) দিবাগত ভোর রাতে চুনকুড়ি জি গ্যাসের পাশে নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে ৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৩টি বসতঘর বাড়ি।

জনপ্রতিনিধি ও সরেজমিনে ঘুরে জানা যায়, আইলার পরবর্তী সময় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে উপজেলার ৩২ এবং ৩৩ নং পোল্ডারের বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজ প্রায় ৯০ শতাংশ সম্পন্ন হলেও ওই কাজে নদী শাসন না করে বাঁধ নির্মাণ করায় ৩৩নং পোল্ডারের বাজুয়া ইউনিয়নের চুনকুড়ি এনার্জি প্যাক জি গ্যাস কোম্পানির উত্তর পশ্চিম পাশে গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত ভোর রাতে প্রায় ৫০০ মিটার পাউবোর বেড়িবাঁধের (নব নির্মিত মূল রাস্তার এক তৃতীয় অংশ চুনকুড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। এ ঘটনায় ওই এলাকার ৮টি ক্ষুদ্র ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৩টি বসত ঘর চুনকুড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

চুনকুড়ি নদী ভাঙ্গনের শিকারে মিকাইল সানা, তোতা বিবি, মামুন, ফারুক মালঙ্গী, বাবর আলী গাজী, তপন ঢালী, রবিউল গাজী, শংকর মন্ডল, রেবেকা বেগমের ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান এবং আঙ্গুরা বেগম, জয়নাল গাজী, লৎফর রহমানের বসতঘর বাড়ি নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে।

বাজুয়া ইউপি চেয়ারম্যান মানস মুকুল রায় বলেন,চুনকুড়ি জি গ্যাস কোম্পানির পাশে পাউবোর বেড়িবাঁধে ভয়াবহ ফাটাল দেখা দিলে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে কর্তৃপক্ষকে অবগত করি। কিন্তু তারা এখানে কার্যত পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় আজ চুনকুড়ি নদী গর্ভে ৮টি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ও ৩টি বসতঘরবাড়ি বিলীন হয়েছে। এ ঝুঁকিপূর্ণ নদী ভাঙ্গন এলাকায় দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা না হলে যে কোন মুহূর্তে অবশিষ্ট বাঁধ নদী গর্ভে বিলীন হয়ে অত্র ৩৩নং পোল্ডারের ৫টি ইউনিয়ন প্লাবিত হওয়ার আশংকা রয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আশরাফুল আলম বলেন,নিম্ন চাপসহ নদীর পানি বৃদ্ধি ও প্রবল জোয়ারের তোড়ে ৩৩নং পোল্ডারের চুনকুড়ি এনার্জি প্যাক জি গ্যাসের পাশে নদী ভাঙ্গনে পাউবোর বেড়িবাঁধের ক্ষতির খবর পেয়েছি। তিনি এক প্রশ্নের উত্তরে বলেন,৩২ ও ৩৩নং পোল্ডারের মেরামতের দায়িত্ব বিশ্বব্যাংক হাতে নেওয়ায় ওই পোল্ডারের কাজ এখন আর পাউবো’র করার এখতিয়ার নেই তারা উন্নত প্রযুক্তিতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের কাজ করেছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিন্টু বিশ্বাস বলেন, সরেজমিনে চুনকুড়ি নদী ভাঙ্গন এলাকা পরিদর্শন পূর্বক পাউবোরসহ ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে দ্রুত ভাঙ্গন কবলিত স্থানে কার্যত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বলেছি।

এসএম