নীলফামারীতে হামলার শিকার সাংবাদিক, থানায় অভিযোগ

আল-আমিন, নীলফামারী প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২২, ২০২২, ০৬:৩১ পিএম
নীলফামারীতে হামলার শিকার সাংবাদিক, থানায় অভিযোগ

নীলফামারী জেলা সদরের রামনগর ইউনিয়নের বল্টুর ঘাট এলাকায়  জুয়ার আসরের সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে জুয়ারিদের হামলায় আহত হয়েছেন নিবন্ধিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল পানকৌড়ি নিউজের নীলফামারী জেলা প্রতিনিধি মেহেদি হাসান রনি।

নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বল্টুর ঘাট সংলগ্ন বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের বল্টুর ঘাট সংলগ্ন বাজারের পাশে রামনগর বাজারের সভাপতি আসাদুত জামান এর নেতৃত্বে দীর্ঘদিন ধরে জুয়ার আসর চলছিল। এ বিষয়ে সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হন সাংবাদিক রনি। এ সময় জুয়াড়িরা সাংবাদিক মেহেদি হাসান রনিকে  ব্যাপক মারধর করে ও রক্তাক্ত জখম করে। লাঞ্চিত করার এক পর্যায়ে তারা পকেট থেকে মনিব্যাগ  ছিনিয়ে নেয়। পরে স্থানীয়রা  ৯৯৯ এ ফোন দেয় পরে পুলিশ এসে সাংবাদিক রনিকে উদ্ধার করে নীলফামারী সদর  জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

হামলায় আহত মেহেদি হাসান রনি বলেন, আসাদুত জামান এর নেতৃত্বে ওই এলাকায় নিয়মিত জুয়ার আসর চলছিল। সেখানে সংবাদ সংগ্রহে গেলে জুয়াড়িসহ সন্ত্রাসীরা আমার উপর হামলা চালায়। এতে আমার মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেয়।

এ বিষয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।অভিযুক্তরা  হলেন রামনগর ইউনিয়নের দোলাপাড়া এলাকার মৃত্যু রাজেন্দ্র নাথ রায় এর ছেলে হরিপদ সাকারী (৫৫), কাছারি ফকির পাড়ার বুলু(৪৭), রামনগর ডাঙাপাড়ার মৃত্যু আব্দুল্লাহ মিয়ার ছেলে আশাদূত জামান(৫৫), রামনগর ডাঙাপাড়ার  তমির উদ্দিনের ছেলে  এনামুল(৪৫), রামনগর মাঝাপাড়ার টুকু(৫০) সহ আরো অন্তত ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন সাংবাদিক রনি।

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ জুবাইর হোসেন প্রামানিক জীম বলেন, সাংবাদিক উপর হামলার বিষয়টি খুবেই দুঃখজনক। অভিযুক্তদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোরালো দাবি জানাচ্ছি।

নীলফামারী জেলা রিপোর্টার্স  ইউনিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও তৃতীয় মাত্রার বিশেষ প্রতিনিধি মোঃ তৈয়বুর রহমান মানিক সাংবাদিকের উপর হামলার বিষয়ে তীব্র নিন্দা ও অভিযুক্তদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান।

অভিযুক্তদের কাছে জানতে চাইলে মোঃ আসাদুত জামান ও হরিপদ রায় শাকারী বলেন, বিষয়টি অনাকাঙ্খিত ভাবে ঘটেছে এবং সাংবাদিককে মারধর ও মানি ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার বিষয়টি তাড়া কৌশলে এড়িয়ে যান।

জানতে চাইলে নীলফামারী সদর থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউপ বলেন, অভিযোগ পেয়েছি। সাংবাদিকদের উপর হামলা বিষয়টি  দুঃখজনক। অভিযোগের বিষয়ে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

কেএস