ধর্ষণের পর প্রেমিকাকে হাসপাতালে রেখে পালালো প্রেমিক

মাদারীপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: অক্টোবর ৪, ২০২২, ১২:৪১ পিএম
ধর্ষণের পর প্রেমিকাকে হাসপাতালে রেখে পালালো প্রেমিক

মাদারীপুরে এক শিক্ষার্থীকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে তার প্রেমিকের বিরুদ্ধে। ঘটনা ঘটানোর পর প্রেমিক নিজেই ওই শিক্ষার্থীকে হাসপাতালে রেখে পালিয়ে যায় বলেও অভিযোগ।

হাসপাপাল, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদারীপুর সদর উপজেলার পাচখোলা ইউনিয়নের স্বনির্ভর গ্রামের আশরাফ আলি সরদারের ছেলে সজীব সরদারের (২৩) সাথে পাশ্ববর্তী কালিকাপুর ইউনিয়নের এসএসসি পরীক্ষার্থী এক মেয়ে সাথে প্রেমের সম্পর্ক হয়। এই সম্পর্কে সূত্র ধরেই কলেজ ছাত্র সজীব সরদার রবিবার কৌশলে তার প্রেমিকাকে মাদারীপুর শহরের পুরান বাজার এলাকায় একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে যায়। পরে বিকেলে সাড়ে ৫টার দিকে নেশাদ্রব্য খাইয়ে অচেতন করে ধর্ষণ করে। এক পর্যায় ওই তরুণী অসুস্থ্যবোধ করলে রাত ১০টার দিকে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। তরুণীর পরিবারের নাম ঠিকানা হাসপাতালের রেজিষ্টারে ভূল লিখে ভর্তি করে পালিয়ে যায়। 
ঘটনাটি জানা জানি হলে রাতেই ভুক্তভোগীর পরিবার ও সদর থানা পুলিশ হাসপাতালে ছুটে আসেন।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, গত রমজান মাসের কিছুদিন আগে এক আত্মীয় বাড়িতে বিয়ের অনুষ্ঠানে পরিচয় হয় ঐ কলেজ ছাত্র সজীবের সাথে। সেখান থেকে শুরু প্রেমের সম্পর্ক। প্রায় এক বছর ধরে ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে। সজীব কৌশলে পুরান বাজারের একটি হোটেলে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে একটি বোতলে পানি খেতে দেয়। খাওয়ার কিছু সময় পরেই অচেতন হয়ে যাই। এখন ওই ছেলে আমার অচেতন করে ক্ষতি করেছে, সে যদি বিয়ে করে আমার কোন আপত্তি নেই। আর সে বিয়ে না করলে ঘটনার কঠোর শাস্তি দাবি জানাই।

স্কুল শিক্ষার্থী দুলাভাই বলেন, আমার শ্যালিকার সাথে খারাপ কাজ করেছে সে যদি আমার শ্যালিকাকে মেনে নেয় তাহলে তো ভালো। আর যদি সে মেনে না নেয় তাহলে আমরা সরকার এবং প্রশাসনের কাছে তার কঠোর শাস্তির দাবি জানাই।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার ডা. রিয়াদ মাহমুদ বলেন, প্রাথমিকভাবে শিক্ষার্থীকে চিকিৎসা দেয়া হয়। পরে ধর্ষণের বিষয়টি জানার পরে নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। পরীক্ষার রিপোর্ট পেলে স্পষ্টভাবে বলা যাবে সে ধর্ষণের শিকার হয়েছে কিনা।

এ ব্যাপারে মাদারীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী বলেন, ঘটনা জানার পরে সদর হাসপাতালে আমাদের পুলিশ গিয়ে খোঁজ-খবর নিয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ দিলে পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

কেএস