অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে বুধবার (১১ অক্টোবর) বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশ উপলক্ষে চট্টগ্রাম পলোগ্রাউন্ড মাঠে আয়োজিত সমাবেশে অবিশ্বাস্য জনসমাগম হয়েছে। সকাল থেকে সমাবেশ চলাকালীন সময় পর্যন্ত বিএনপি নেতা কর্মীরা উৎসাহ উদ্দীপনায় সমাবেশে যোগদান করেন।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আজ চট্টগ্রাম থেকে সরকার পতনের আন্দোলন শুরু হয়েছে।
সমাবেশে বিপুল জনসমাগমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে ফখরুল বলেন, মহাসমাবেশে আসার সময় আমাদের নেতাকর্মীদের পথে পথে বাধা দেওয়া হয়েছে। গাড়ি থেকে নামিয়ে দেওয়া হয়েছে। গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। এরপরও আজকের জনস্রোত থামানো যায়নি।
চট্টগ্রামের মানুষ ভয় পায় না জানিয়ে ফখরুল ইসলাম বলেন, আপনারা দরিয়ার মানুষ। উত্তাল তরঙ্গেও আপনারা সাম্পান নিয়ে বুক ফুলিয়ে এগিয়ে যান। কোনোকিছুই আপনাদেরকে থামাতে পারে না। এসময় উপস্থিত লোকজনকে ভয় পান কিনা জানতে চাইলে সবাই সমস্বরে ‘না’ বলে জবাব দেন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে পলোগ্রাউন্ডে সমাবেশের কথা স্মরণ করে ফখরুল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া কোনো রাজনীতিবিদ ছিলেন না। তিনি ছিলেন গৃহিণী। গৃহকোণ থেকে বেরিয়ে তিনিই হয়ে উঠেছিলেন গণতন্ত্রের মা। দেশের অলি-গলি চষে বেড়িয়েছেন গণতন্ত্রের সুর তোলে। এখন বলা হয় বেশি বাড়াবাড়ি করলে সেই নেত্রীকে আবার নাকি জেলে পাঠাবে তারা। বেগম খালেদা জিয়া কারাগারকে ভয় পান না। বিএনপি নেতাকর্মীরা কারাগারকে ভয় পায় না। মহাসমাবেশে তিনি সাফ জানিয়ে দেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে ছাড়া দেশে কোনো নির্বাচন হবে না, দেশের মানুষ হতে দেবে না। যে নির্বাচন কমিশনকে ডিসি-এসপিরা মানে না সেই কমিশনের অধীনে কিসের নির্বাচন প্রশ্ন রাখেন মির্জা ফখরুল।
চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্করের সঞ্চালনায় ও আহ্বায়ক ডা. শাহাদাত হোসেনের সভাপতিত্বে মহাসমাবেশে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খোন্দকার মোশাররফ হোসেন, সাবেক চসিক মেয়র বিএনপি নেতা মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দীন, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, শামা ওবায়েদ, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, বিএনপি নেতা ইসরাক হোসেন, হুম্মাম কাদের চৌধুরী, মীর হেলাল প্রমুখ।
কেএস