চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা বাজারে সাইকেল চুরির করে পালানোর সময় নয়ন সরকার (২২) নামে এক যুবককে আটক করে স্থানীয়রা। এ সময় মারধরের হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সাহায্য চান তিনি। পরে শাহাপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাইসাইকেলসহ অভিযুক্ত নয়নকে উদ্ধার করে জীবননগর থানায় হস্তান্তর করে। বুধবার (৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত নয়ন জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে। তিনি চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের ঝাঝড়ি গ্রামের বাসিন্দা। নয়নের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ১২টি মামলার ওয়ারেন্ট রয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক।
স্থানীয়রা জানান, শ্যামপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আসাদুল হকের বাইসাইকেলটি গতকাল বুধবার সকালে দর্শনা বাজার থেকে চুরি হয়ে যায়। খোঁজাখুঁজি পর আন্দুলবাড়িয়ার দেহাটি তেলপাম্পের কাছ থেকে বাইসাইকেলসহ অভিযুক্ত নয়ন সরকারকে আটক করে স্থানীয়রা। এ সময় গণপিটুনির হাত থেকে নিজেকে রক্ষা করতে নয়ন ৯৯৯-এ কল করে সাহায্য চাইলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরে যাচাই-বাছাই শেষে প্রকৃত মালিকের কাছে বাইসাইকেলটি হস্তান্তর করে পুলিশ।
শাহাপুর ক্যাম্প পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৯৯৯ থেকে কল পেয়ে জীবননগর থানার ডিউটি অফিসার আমাকে বিষয়টি অবগত করেন। পরে জীনননগর থানাধীন দেহাটি তেলপাম্পের সামনে থেকে বাইসাইকেলসহ অভিযুক্ত নয়নকে জনগণের হাত থেকে উদ্ধার করি। প্রাথমিক যাচাই-বাছাই শেষে নিশ্চিত হয়ে বাইসাইকেলটির মালিক আসাদুলের নিকট হস্তান্তর করা হয়। চুরির বিষয়টি নয়ন নিজেও স্বীকার করে।
জীবননগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক বলেন, বাইসাইকেল চুরির করে পালানোর সময় স্থানীয় জনগণ আটক করে নয়নকে। এ সময় নিজেকে মারধর থেকে রক্ষা করতে ৯৯৯-এ কল করে সাহায্য চান। পরে শাহাপুর ক্যাম্প পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তাকে উদ্ধার করে। আমরা প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি নয়নের নামে বিভিন্ন থানায় ১২ মামলার ওয়ারেন্ট আছে। বেশিরভাগই চুরির মামলা। পার্শ্ববর্তী ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুর থানায় ৩টি ওয়ারেন্ট থাকায় সেখানে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।
এসএম