নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে দালাল চক্রের মাধ্যমে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন শাহিদের বিরুদ্ধে ৪ রোহিঙ্গাদের জন্মসনদ দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতা মূলক কাজের অভিযোগ এনে আবু সুফিয়ান নামের স্থানিয় এক বাসিন্দা উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন শাহিদ দালাল চক্রের হোতা চরকাঁকড়া ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোঃ হারুনের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক ওরপে সোহেলের (২৪) মাধ্যমে চড়া মূল্যে ৪ রোহিঙ্গাকে একক ক্ষমতা বলে মেম্বার চেয়ারম্যানের অনুমতি ছাড়া জন্ম সনদ প্রদান করেন।
জন্ম সনদ প্রাপ্ত ৪ রোহিঙ্গা রিমা আক্তার, ছামিরা আক্তার, মাহমুদা বেগম ও সেম্পা রানী দাসকে সোহেল পার্শ্ববর্তী উপজেলা কবিরহাটের ধানশালিক ইউনিয়নে ভোটার করতে নিয়ে গেলে সন্দেহবাজন অবস্থায় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়।
এবিষয়ে জানতে চাইলে সচিব মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, আবু বক্কর সিদ্দিক সোহেল তার পরিচয় চেয়ারম্যানের পাশের বাড়ি বলায় সরল মনে তাকে জন্ম সনদগুলো দিয়েছি। পরে ধানশালিক ইউনিয়ন থেকে ফোনে জন্ম সনদগুলোর সত্যতা জানতে চাইলে তাদেরকে আটক করে পুলিশে দিতে বলেছি।
রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদানের বিষয়ে জানতে চাইলে চরকাঁকড়া ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হানিফ সবুজ বলেন,আমার সাক্ষর ছাড়া সনদগুলো প্রদান করা হয়েছে। সচিব মোয়াজ্জেম হোসেনের বিরুদ্ধে ইতিপূর্বেও অনেক অভিযোগ এসেছে, যা আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জানিয়েছি।
রোহিঙ্গাদের জন্ম সনদ প্রদানের বিষয়ে লিখিত অভিযোগের প্রাপ্তির বিষয়ে নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেজবা উল আলম ভূঁইয়া বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এআই