নীলফামারীতে এনজিও ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

নীলফামারী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩, ২০২২, ০৯:২৩ পিএম
নীলফামারীতে এনজিও ঋণের চাপে গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ

নীলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলায় ঋণের দায়ে গলায় ফাঁস দিয়ে শাহানা পারভীন লাইলী (৩৭) নামের এক গৃহবধূর আত্মহত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার সকাল ১১টার শহরের রেলওয়ে অফিসার্স কলোনী এলাকা এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শাহানা পারভীন একই এলাকার জাবেদ আলী পাপ্পুর স্ত্রী। তিনি তিন সন্তানের মা। বিভিন্ন এনজিওর ঋণ ও স্থানীয়দের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে দেনাগ্রস্ত হয়ে পড়েন তিনি।

পরিবার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, জাবেদ আলী তার স্ত্রী শাহানার নামে ব্র‍্যাক ব্যাংক, গ্রামীণ ব্যাংক ও ঠ্যাংগামারা এনজিওসহ স্থানীয় কয়েক জনের কাছ প্রায় দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাকে প্রতিদিন  ঋণের কিস্তি পরিশোধ করতে হতো। স্বামীর সামান্য বেতনে তাঁর পক্ষে ঋণের কিস্তি পরিশোধ করা কষ্টকর হয়ে যেত। একপর্যায়ে ব্যাংক, এনজিও এবং যাদের কাছ থেকে সুদে টাকা নিয়েছিল তারা প্রতিনিয়ত তাঁকে এবং তাঁর স্ত্রীকে কিস্তির জন্য তাগাদা দিতে থাকে। এই ঘটনায়  মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন শাহানা। এর জের তিনি উল্লেখিত সময়ে সবার অগোচরে নিজ বাড়ির ভিতরে পেয়ারা গাছের সাথে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেন।

নিহতের  চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছেলে সিসান আহমেদ বলেন, ‘আমার মায়ের নামে অনেক টাকা ঋণ ছিল। লোকেরা বাড়িতে এসে কিস্তির জন্য সবসময় বলতে থাকত। টাকার সমস্যার জন্য কিস্তি দিতে পারত না। তাই আজ মানসিক চাপে আমার মা আত্মহত্যা করেছে।’

শাহানার স্বামী জাবেদ আলী  বলেন, আমি একটি বেসরকারি কোম্পানির স্থানীয় বিক্রয় প্রতিনিধি। দুই মাস আগে চাকরি চলে যায়। ব্যবসার করার জন্য  দুটি ব্যাংক, একটি এনজিও ও তিনজনের কাছ থেকে দেড় লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলাম। কিন্তু ব্যবসায় সব টাকায় লস হয়েছে। অভাবের কারণে ঠিকভাবে কিস্তি দিতে পারছিলাম না। কিন্তু যাদের কাছে টাকা নিয়েছিলাম তারা প্রতিদিন চাপ দিতো। এই কারণেই আমার স্ত্রী আত্মহত্যা করেছে।

এসএম