কেন্দুয়ায় স্কুলে ১৯ মৌচাক, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

কেন্দুয়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৩, ২০২৩, ০৬:৪২ পিএম
কেন্দুয়ায় স্কুলে ১৯ মৌচাক, আতঙ্কে শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা

নেত্রকোনার কেন্দুয়ার একটি প্রাথমিক স্কুলে এক বা একাধিক নয়, গুনে গুনে বড় বড় ১৯টি মৌচাক তৈরি করেছে মৌমাছিরা। এর পাশের একটি গাছে রয়েছে আরো একটি। মোট ২০টি মৌচাক থাকায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

মৌচাকের বাসাটি কেন্দুয়া উপজেলার মোজাফরপুর ইউনিয়নের চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। একসঙ্গে এতগুলি মৌমাছি বাসা বাঁধায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা বিপদের আশঙ্কা করছেন।

স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাকির আলম ভূঞা বলেন, একসঙ্গে এতগুলি মৌচাক থাকায় ঝুঁকিতে রয়েছে স্থানীয় লোকজন ও শিক্ষক শিক্ষার্থীরা। তবে বার্ষিক পরীক্ষার পর স্কুলে ক্লাস ছিল না, তাই এতদিন শিক্ষার্থী স্কুলে আসেনি। নতুন বছরের শুরুতে শিক্ষার্থীরা নতুন বই পেয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাসে ফিরতে শুরু করায় ঝুঁকিতে থাকতে হবে তাদের।

সুলেমান নামে স্থানীয় এক ব্যক্তি জানান, এবার প্রচুর সরিষার আবাদ হয়েছে। এজন্য বিদ্যালয়ের দেয়ালে এতগুলো মৌমাছি বাসা বেঁধেছে।

এদিকে স্থানীয় শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলে দেয়ালে এতগুলো মৌচাক থাকায় শিশু শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। স্কুল খোলার পর যদি দুষ্টুমি করে কোন শিক্ষার্থী মৌচাকে ঢিল মারে তাহলে যেকোনো সময়ে আক্রান্তের শিকার হতে শিক্ষর্থীরা।

এ বিষয়ে মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) দুপুরে চারিতলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দিলরুবা আক্তার জাহান বলেন, গত কয়েক মাসে ধরে স্কুলের হঠাৎ করে মৌমাছিরা বাসা বাঁধে। এতে করে স্কুলের শিক্ষার্থীসহ আমরা কিছু আতঙ্কে রয়েছি।

কেন্দুয়া উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও এডহক কমিটির সভাপতি তাছলিমা আক্তার লিপি জানান, স্কুলে মৌমাছিরা বাসা বাঁধার খবর পেয়েছি। স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিরাপত্তার সার্থে মৌচাক ভাঙা হবে। তবে এর থেকে যা মধু পাওয়া যাবে, তা বিক্রি করে এই টাকা স্কুলের উন্নয়ন মূলক কাজে লাগানো হবে।

কেএস