কিছুদিন বন্ধ থাকার পর বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম-তুমব্রু সীমান্ত এলাকার মিয়ানমার অংশে ফের গোলাগুলির ঘটনায় একজন নিহত ও আরও দুইজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া শূন্যরেখার শিবিরে আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে ছুটছেন। বুধবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই গোলাগুলি চলে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
নিহত ব্যক্তি বালুখালী ক্যাম্পের হামিদ উল্লাহ এবং আহতরা হলেন- টেকনাফের জাদিমুড়া ক্যাম্প ২৬ এর মুহিব উল্লাহ (২৫), ঘুমধুম জিরো পয়েন্টের শিশু মোহাম্মদ হোসেন (১২)।
এ বিষয়ে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার মাহফুজুল ইসলাম বলেন, সীমান্তে গোলাগুলিতে হামিদ উল্লাহ নামে একজনের মরদেহ উখিয়ার কুতুপালং এমএসএফ হাসপাতালে রয়েছে। সেখানে গুলিবিদ্ধ শিশুসহ আহত ২ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন। এ বিষয়ে বিস্তারিত খোঁজ-খবর নিচ্ছি।
বুধবার বিকেলে সরেজমিনে দেখা গেছে, শূন্যরেখার রোহিঙ্গা শিবিরে আগুন লাগায় নারী-শিশুসহ ৩০ জনের মতো রোহিঙ্গা নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদে আশ্রয় নেন। পরে তাদের সেখান থেকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন।
এ সময় কথা হয় শূন্যরেখা রোহিঙ্গা শিবিরের কিশোরী আসমার সঙ্গে। তিনি বলেন, আমাদের সবার ঘরবাড়ি পুড়ে গেছে। সবাই এদিক-ওদিক পালাচ্ছে। সকাল থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত গোলাগুলি চলেছে। শূন্যরেখায় বোমা ফেলেছে এবং একজন মারা গেছেন। আবার অনেকে আহত হয়েছেন।
তুমব্রুর স্থানীয় এক ইউপি সদস্য জানান, `ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) এবং আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) সঙ্গে গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছি। শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের ঘরবাড়িগুলো আগুনে পুড়ে গেছে। ফলে সেখানকার রোহিঙ্গারা বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের দিকে পালিয়েছেন। এখন পর্যন্ত নারী-শিশুসহ কয়েকশ রোহিঙ্গা এপারে আছেন।`
এদিকে তুমব্রুতে শূন্যরেখায় স্থাপিত রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ২০১৭ সালের পর থেকে চার হাজার ২৮০ রোহিঙ্গা বসবাস করছিল।