বিনা দোষে কাউকে গুম-হত্যা করা হচ্ছে না: শ ম রেজাউল করিম

সাভার প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৬:১১ পিএম
বিনা দোষে কাউকে গুম-হত্যা করা হচ্ছে না: শ ম রেজাউল করিম

যুক্তরাষ্ট্রসহ বিশ্বের অনেক দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড হলেও বাংলাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অনেক ভালো। বাংলাদেশে বিনা দোষে কাউকে গুম বা হত্যা করা হচ্ছে না বলে দাবি করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ.ম রেজাউল করিম।

বৃহস্পতিবার (১৯ জানুয়ারি) দুপুরে সাভারের কলমা এলাকায় গবাদি পশুর জন্য টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) প্ল্যান্ট উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জাবাবে তিনি এ দাবি করেন।

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী চলমান গ্যাস সংকট প্রসঙ্গে বলেন, গ্যাস-বিদ্যুৎ সংকটে কোনো কলকারখানা বন্ধ হবে না ।

মন্ত্রী আরো বলেন, দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্যে খামার মালিকদের দীর্ঘদিনের গো খাদ্যের সমস্যার কথা মাথায় রেখে কৃত্রিম প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রকল্প হাতে নেয়া হয়েছে। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের চেষ্টায় সাভারের কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারে একটি টোটাল মিক্সড রেশন (টিএমআর) প্ল্যান্ট স্থাপন করা হয়েছে।

কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ড. এ বি এম খালেদুজ্জামান বলেন, উচ্চ প্রযুক্তির এই টিএমআর পশু খাদ্য প্ল্যান্ট উদ্বোধনের মাধ্যমে দেশের প্রাণিসম্পদ উন্নয়নে আরেকটি পালক সংযুক্ত হলো

প্রতি কেজি টিএমআর খাদ্যে শতকরা ২০ থেকে ৩০ ভাগ পর্যন্ত খড় ব্যবহারের ফলে প্রতি কেজি টিএমআর খাদ্যে ৩.৫ থেকে ৪০ টাকা পর্যন্ত খাদ্য খরচ সাশ্রয় হবে। পাশাপাশি খড়ের পরিপাচ্যতা শতকরা ১০ থেকে ১৫ ভাগ বৃদ্ধি পাবে।

তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০৪১ সালে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে স্মার্ট প্রাণীসম্পদের উন্নয়নের বিকল্প নেই। কেন্দ্রীয় গো প্রজনন ও দুগ্ধ খামারের উন্নত টিএমআর প্রযুক্তি বাস্তবায়নের ফলে গবাদিপশুর যেমন খাদ্য খরচ সাশ্রয় হবে ঠিক তেমনি দুধ ও মাংস উৎপাদনের মাধ্যমে প্রাণিসম্পদের উন্নয়ন তথা খামারি উদ্যেক্তা, দ্রারিদ্র দূরীকরণ, কর্মসংস্থান, পুষ্টি উন্নয়ন ও স্মার্ট প্রাণিসম্পদ ব্যাবস্থাপনায় নতুন যুগের সূচনা হলো।

এ সময় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. নাহিদ রশিদ, প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ইমদাদুল হক তালুকদার, বিএলআর আইয়ের বাহু পরিচালক ড. এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, প্রজনন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও ভ্রুণ স্থানান্তর প্রকল্প পরিচালক ডা. মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় প্রজন ও দুগ্ধ খামারের পরিচালক ড. খালেদুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

এআরএস