বাহারি পিঠা নিয়ে গুরুদয়াল সরকারী কলেজে পিঠা উৎসব

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৭, ২০২৩, ০৩:৪৬ পিএম
বাহারি পিঠা নিয়ে গুরুদয়াল সরকারী কলেজে পিঠা উৎসব

শুধু খাবার হিসেবেই নয় বরং লোকজ ঐতিহ্য এবং নারীসমাজের শিল্প নৈপুণ্যের স্মারক রূপেও পিঠা বিবেচিত হয়। বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা। প্রতি শীতেই গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে শুরু হয় পিঠা পুলির উৎসব। গ্রামীণ ঐতিহ্য ও নতুন প্রজন্মের কাছে হরেক রকমের পিঠার পরিচয় তুলে ধরতে কিশোরগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী গুরুদয়াল সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসব।

মঙ্গলবার (৭ ফেব্রুয়ারি) দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত এ উৎসবে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ২০টি স্টল সাজিয়েছিলেন গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী শত রকমের বাহারী ও মুখরোচক পিঠা। ভোজন রসিকরাও এসে পিঠা খেয়ে নানা প্রশংসা করছেন। আর আয়োজকরা বলছেন প্রতি বছরই এমন আয়োজন থাকবে নতুন প্রজন্মের কাছে পিঠা পুলির পরিচিতির জন্য।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজের কৃষ্ণচূড়া চত্ত্বরে শুরু হওয়া এ পিঠা উৎসবে ছিল বেশ ভিন্নতা। গ্রামীণ লোকজ ঐতিহ্য নাম ছিল স্টল গুলোর। শিক্ষার্থীরা নিজ হাতে তৈরি করা এসব পিঠা সাজিয়েছেন তাদের স্টলে। শোভা পাচ্ছে- পিয়াসা, পাটি সাপটা, আন্দসা, চিতই, ভাপা, পুলি, সরু, মালাই রোল, চিটা রুটিসহ শতাধিক  ধরণের পিঠা সাজানো রয়েছে ২০টি স্টলে। ভোজন রসিকরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে দেখছেন আর স্বাদ নিচ্ছেন। সেই সাথে অনেকে এসেছেন তাদের সন্তানদেরকে পিঠা পুলির স্বাদের পাশাপাশি পিঠার সাথে পরিচয় ঘটাতে।

উসবের আয়োজন করা হলে নতুন প্রজন্ম দেশি পিঠায় পরিচিত হতে পারবে।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজের অর্থনীতি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান শাহজাহান সীমান্ত জানান, গ্রামগঞ্জে বিশেষ করে শীতকালে নানা ধরণের পিঠাপুলি তৈরি হয় প্রতিটি বাড়িতে। বাঙালির ইতিহাস ও ঐতিহ্যে পিঠা-পুলি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে বহুকাল ধরে। পিঠা উৎসবের আয়োজন এটি লোকজ ও নান্দনিক সংস্কৃতিরই বহিঃপ্রকাশ।

অনেক পিঠার সাথেই আমাদের পরিচয় হারিয়ে যাচ্ছে। অনেক পিঠার নাম জানা থাকলেও স্বাদ মনে নেই। আজকের এই পিঠা উৎসবে অনেক পিঠা খেয়ে ছোট বেলার অনেক স্মৃতিই মন করিয়ে দেয়। এভাবে শীতের পিঠা উৎসব হোক গ্রামবাংলার প্রতিটি ঘরে ঘরে।

গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ প্রফেসর আ ন ম মুশতাকুর রহমান জানান,শীতের শেষের দিকে হলেও আমরা গ্রামবাংলার ঐতিহ্যবাহী পিঠা নিয়ে পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে। এ উৎসবে বিলুপ্তি হওয়া সহ নতুন নতুন পিঠা নিয়ে স্টল সাজানো হয়েছে। নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েসহ বিভিন্ন বয়সের মানুষ পিঠা খেতে এসেছেন। আমাদের এই উৎসবে যারা এসেছেন তাদের দাবীর প্রেক্ষিতে প্রতিবছরই এমন বর্ণাঢ্য আয়োজন হবে। এছাড়াও উৎসবে পিঠা নিয়ে অংশ গ্রহনকারিদের মাঝে পুরুস্কার বিতরণ করা হবে।

আরএস