শিক্ষকের থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটলো শিক্ষার্থীর

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ০৯:০৮ পিএম
শিক্ষকের থাপ্পড়ে কানের পর্দা ফাটলো শিক্ষার্থীর

কোচিং করতে না আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে আল জিহাদ (১১) নামের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থীকে এক থাপ্পড়ে কানের ফর্দা ফাটিয়ে দেয়ার অভিযোগ ওঠেছে। কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেনের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহর বিরুদ্ধে এই অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ ঘটনার শিক্ষার্থীর অভিভাবক আল আমিনের লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে এসে দু‍‍`হাত জোড় করে ক্ষমা চাইলেন অভিযুক্ত শিক্ষক।

জানা গেছে, পৌর শহরের স্টেডিয়াম পাড়ায় অবস্থিত অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেনের ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া শিক্ষার্থী আল জিহাদ। তার বাবা একজন সরকারি চাকরিজীবি। গেল ৪ ফেব্রুয়ারী ক্লাস শেষে কোচিং করতে না আসায় ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাসুম বিল্লাহ। এসময় তার ডান কান বরাবর এক থাপ্পড় দিলে আল জিহাদ আহত হয়। একই সঙ্গে তার কানে ব্যথা শুরু হয়। ফলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে।

শিক্ষার্থীর অভিভাবক আল আমিন জানান, আমি চাকরির সুবাদে জেলা সদরে ছিলাম। খবর পেয়ে বাসায় এসে প্রথমে তাকে স্থানীয় হাসপাতালে এবং পরে রাজধানী ঢাকার সিএমএইচ হাসপাতালে পরিক্ষা শেষে চিকিৎসক জানান আল জিহাদের কানের পর্দা ফেটে গেছে।

তিনি আরও জানান, এমনিতেই তার ছেলে অসুস্থ ছিলো। শিক্ষকের এমন থাপ্পড়ে তার অঙ্গহানী হবার উপক্রম হয়েছে। এ কথা বলতে গিয়ে তিনি অশ্রুসিক্ত হয়।

কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি বিচার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পরে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষককে তলব করে উপজেলা প্রসাশন।

এ বিষয়ে ভৈরব উপজেলা (ভারপ্রাপ্ত) শিক্ষা অফিসার আবু হেনা মো. মামুন বলেন, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। তাছাড়া যদি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সরকারি হতো, তাহলে অবশ্যই অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হতো। এমনকি বেতন-ভাতা পর্যন্ত বন্ধ হয়ে যেতো।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ জানান, সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কোন শিক্ষার্থীকেই মারার কোন সুযোগ নেই। অক্সফোর্ড কিন্ডারগার্টেন স্কুলে যে ঘটনাটি ঘটেছে, এটি অত্যান্ত দুঃখজনক। প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে। তাই, উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে প্রধান করে দুই সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত শেষে অভিযোগুলো প্রমাণিত হলে প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।

কেএস