ময়নসিংহের নান্দাইল উপজেলার মুশুল্লী পালাহার নামক স্থানে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কের পাশে পুকুর থেকে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মহাসড়ক ঘেঁষে পুকুর থেকে এভাবে বালু উত্তোলন করা হলে যেকোন সময় রাস্তার নীচের মাটি সরে গিয়ে ধ্বসে যেতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে, পালাহার গ্রামের হাবিবুর রহমানের পুত্র শামীম মিয়া মহাসড়কের পাশে থাকা তাঁর বোন শিল্পী আক্তারের ৬০ শতাংশ পুকুর থেকে অবৈধভাবে ড্রেজার মেশিন দিয়ে বালু উত্তোলন করে অন্যত্র বিক্রি করে দিচ্ছে।
তাঁর চাচাতো ভাই লোকমান শামীমের কাছ থেকে বালু ক্রয় করছে বলে জানা যায়। প্রায় এক সপ্তাহ যাবত উক্ত পুকুর থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কেউ কোন প্রতিবাদ না করায় বালু উত্তোলন করে যাচ্ছে শামীম মিয়া।
রাস্তার পাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করার বিষয়টি পথচারী ও এলাকাবাসির মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হলেও তা প্রশাসনের নজরে আসেনি।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজিবুর রহমান বলেন, যেভাবে মাটি কাটা হচ্ছে, এতে সড়কটি যেকোন সময় দেবে যেতে পারে। এছাড়া সিরাজুল ইসলাম নামে আরেক ব্যক্তি বলেন, রাস্তার পাশে এভাবে পুকুর খনন করা সরকারি বিধি মোতাবেক কি না ? তা দেখার বিষয় প্রশাসনের। আমরা বাধা দিলে তো তারা মানতে বাধ্য নয়।
এ ব্যাপারে শামীম মিয়া বলেন, আমি সড়ক ও জনপথের এ্যাকুয়ারের জায়গা ছেড়েই আমার জায়গায় পুকুর খনন করছি। তবে রাস্তার পাশে ড্রেজার মেশিন দিয়ে পুকুর খননের বিষয়ে প্রশ্ন করলে তিনি বলেন, এতে মহাসড়কের কোন ক্ষতি হবে না।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের সাব-এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিয়ার বাবুল মিয়া জানান, আমি বিষয়টি শুনেছি। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ কিশোরগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী রিতেশ বড়ুয়ার সাথে সেলফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয়টির খবর নিয়ে আমি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
এমএইচআর