হতাশায় গুরুদাসপুরের বাঙ্গী চাষিরা

গুরুদাসপুর (নাটোর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৩, ০৪:৫৪ পিএম
হতাশায় গুরুদাসপুরের বাঙ্গী চাষিরা

নাটোরের চলনবিল অধ্যুষিত গুরুদাসপুরের বিস্তীর্ণ জমিতে বাঙ্গীর বাম্পার ফলনে চাষিরা প্রচন্ড খুশি হলেও ভরা মৌসুমে দাম না পেয়ে হতাশ হয়ে পরেছে চলনবিল বেষ্টিত গুরুদাসপুর এলাকার বাঙ্গী চাষিরা।

গুরুদাসপুর উপজেলা দেশের অন্যতম ফল ভান্ডার হিসেবে পরিচিত। বাঙ্গী, তরমুজ, খিরা, লিচু, কুল, পেয়ারা, কলা ও আমসহ নানান ফলে সমৃদ্ধ এই উপজেলা। 

উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের মধ্যে ধরাবারিষা,নাজিরপুর,বিয়াঘাটে অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি প্রচুর পরিমানে ফল উৎপাদন হয়। 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, প্রচন্ড খরার পরে বৃষ্টিপাতের ফলে নিচু এলাকার বাঙ্গীর জমিগুলোতে পানি জমে গেছে। গাছে গাছে প্রচুর বাঙ্গী শোভা পাচ্ছে। তবে চাহিদা না থাকায় জমিতেই নষ্ট হচ্ছে বাঙ্গিগুলো।

দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মহাজনরা আসলেও রোজা শেষ ও বৃষ্টির অজুহাত দেখিয়ে দাম কম বলছেন। কৃষকরা জমি থেকে  নিজ খরচে বাঙ্গি তুলে রাস্তায় ফেলে রেখেছে। কিছু বিক্রি হচ্ছে কিছু আবার নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। 

বাঙ্গীর দাম নিয়ে চাষিরা জানান, বাঙ্গীর বাম্পার ফলন হওয়া স্বত্বেও দাম কম নিয়ে বিপাকে পড়েছেন তারা। যেমন ফলন হয়েছে সে অনুসারে বাজারে দাম পেলে তারা লাভবান হতো। দাম না বাড়লে বিঘা প্রতি যে পরিমান খরচ হয়েছে তার অর্ধেক খরচও উঠবে না বলে জানান তারা। 

উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের বিন্যাবাড়ি গ্রামের আব্দুল খালেক, মঈনুল ও মিনহাজসহ বেশ কয়েকজন কৃষক জানান, ঈদের তিন চার দিন আগে সামান্য কিছু বাঙ্গী ৪ হাজার টাকা শ’তে বিক্রি করেছিলাম। রোজা শেষে বৃষ্টি এবং ঈদ উপলক্ষে যানবাহনের অভাবে এখন ১ হাজার টাকা শ’এ নেমে এসেছে। ঠিক মতো দাম না পেলে বিঘা প্রতি ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লোকসান গুনতে হবে।

গুরুদাসপুর উপজেলা কৃষি অফিসার হারুনর রশিদ জানান, এ মৌসুমে উপজেলায় ৭৬০ হেক্টর জমিতে বাঙ্গীর আবাদ হয়েছে। প্রতি বছরের চেয়ে এ বছর বাঙ্গীর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। তবে ঈদ উপলক্ষে যানবাহন বন্ধ থাকায় সাময়িক বাজার দর এখন কম। কৃষকদের হতাশ হবার কিছু নেই। ঈদের ছুটি শেষ যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। আশা করা যায় কৃষকরা তাদের মৌসুমী ফল বাঙ্গীর ন্যায্য মূল্য ফিরে পাবেন।

এইচআর