ফরিদপুরে গলাটিপে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ২৯, ২০২৩, ০৭:৪০ পিএম
ফরিদপুরে গলাটিপে মাদ্রাসা ছাত্রকে হত্যা, শিক্ষক গ্রেপ্তার

ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার পৌর সদরের পূর্ব-গাড়াখোলা মোহাম্মদিয়া আছিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইমান আলী মোল্লা নামে ৭ বছরের এক শিক্ষার্থীকে গলাটিপে হত্যার অভিযোগ উঠেছে একই মাদ্রাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।

সোমবার (২৯ মে) দুপুর তিনটার দিকে ওই শিক্ষক গলা টিপে হত্যা করে পালানোর সময় মধুখালী থানা পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত শিক্ষার্থী মধুখালী উপজেলার নওপাড়া ইউনিয়নের সমসকান্দি গ্রামের হৃদয় মোল্যার ছেলে। ঘাতক শিক্ষকের নাম হেদায়েতুল্লাহ (২২)। তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার পিরের চর গ্রামের মহসিন মিয়ার ছেলে। ঘাতক শিক্ষক হেমায়েতুল্লাহ দুই সপ্তাহ আগে ওই মাদ্রাসায় অস্থায়ী ভিত্তিতে যোগদান করেছেন।

স্থানীয় ও পুলিশ সুত্রে জানাগেছে, রাতে শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহ এক ছাত্রের সাথে অশ্লীল আচরণ করার সময় নিহত ছাত্র ইমান আলী মোল্লা দেখে ফেললে তাকে এসব কথা কাউকে না বলার জন্য নিষেধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন শিক্ষক। কিন্ত ঘাতক শিক্ষক ভয়ে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠার আগেই সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ছাত্র ইমান আলীকে গলা টিপে হত্যা করে।পরে মাদ্রাসা থেকে হোসাইন (১২) নামক অন্য এক ছাত্রকে সাথে করে পালিয়ে যায়। ইতোমধ্যে অন্য ছাত্ররা ঘুম থেকে উঠে মৃত ছাত্রকে দেখে অন্য শিক্ষকদের জানালে তারা থানায় ফোন করে। খবর পেয়ে মধুখালী থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম তাৎক্ষণিক ফোর্সসহ উপজেলার ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের মাঝকান্দি বাসস্টান্ড হতে ঘাতক শিক্ষককে সঙ্গীয় ছাত্রসহ আটক করে।

এ বিষয়ে ওই মাদ্রাসার প্রধান মাওলানা সামসুল হক বলেন, মাত্র দুই সপ্তাহ আগেই ঘাতক শিক্ষক হেদায়েতুল্লাহকে অস্থায়ী ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হয়।তাকে সাবধান করে বলা হয়েছে ছাত্রদের সাথে কোনরুপ খারাপ আচরণ না করার জন্য।

এ বিষয়ে মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে ওই শিক্ষককে উপজেলার মাঝকান্দি থেকে আটক করা হয়েছে। লাশের ময়না তদন্তের জন্য ফরিদপুরের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

আরএস