রেলিং ভেঙ্গে ১০ গ্রামের চলাচলের সেতু অচল

কাউনিয়া প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৪, ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
রেলিং ভেঙ্গে ১০ গ্রামের চলাচলের সেতু অচল

কাউনিয়ায় উন্নয়নের মহাসড়কে রেলিং ভাঙ্গা সরু সেতু দিয়ে দুই পাড়ে ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়ত। কাউনিয়ার শষ্য ভান্ডার নামে খ্যাত এই গ্রামগুলোর মানুষের প্রায় ৮বছর ধরে জনদুর্ভোগ চরমে হলেও কর্তৃপক্ষ নিরব দর্শক।

সরেজমিনে বালাপাড়া ইউনিয়নের আরাজি খোর্দ্দভুতছারা এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে বর্তমানে ঝুঁকিপূর্ন রেলিং ভাঙ্গা সরু সেতুটি দিয়ে চলাচল করছে স্কুল কলেজ গামী ছাত্র-ছাত্রীসহ দুই পাড়ের মানুষ।

এলাকাবাসী জানায়, বহু বছর আগে শাখা মানাস নদীর ওপর সেতু নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের সময়ই সেতুটি অনেক ত্রুটিপূর্ণ ছিল বলে জানান স্থানীয়রা। দুই রিক্সা ভ্যান চলাচল করার মতো জায়গা না রেখে সরু করে সেতুটি নির্মাণ করে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল দপ্তর।

কয়েক বছর আগে সেতুটির রেলিং ভেঙ্গে যায়। সেতুর রেলিং না থাকায় ইজিবাইক, মোটরসাইকেল, ভ্যানসহ বিভিন্ন যানবাহন চলাচলে ঝুঁকি বাড়ছে। কয়েকদিন আগে সাইকেলসহ সেতুর নিচে উল্টে পড়ে আহত হয় একজন। এর আগে মটর সাইকেলকে জায়গা দিতে গিয়ে একটি ভ্যান সেতুর নিচে পড়ে চালক আহত হন।

আরাজি খোর্দ্দভুতছারা গ্রামের বাসিন্দা আবুকা কুলি জানান, অনেক আগে নির্মিত সরু সেতুটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। সেতুটি সরু ও রেলিং ভেঙ্গে যাওয়ায়  প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটছে। জহুল জানান সরু সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচলে করতে না পারায় কৃষক তার পন্যেও ন্যয্য মূল্য পাচ্ছে না। তকিপল বাজারের ব্যবসায়ী সুমন জানান, সেতুটি অনেক পুরোনো হয়ে গেছে।

বালাপাড়া ইউপি সদস্য হাফিজার রহমান জানান, আরাজি খোর্দ্দভুতছারা গ্রামের সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। তকিপল বাজার, বুদ্ধির বাজার, মৌলভী বাজার, কাউনিয়া কলেজ, হাই স্কুল, ইউনিয়ন পরিষদসহ এলাকার মানুষের উপজেলা সদরে যোগাযোগের একমাত্র সড়কে এটি অবস্থিত। ১০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ এ সেতু দিয়ে চলাচল করেন। সেতুটি দীর্ঘদিন ধরে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। দ্রুত সংস্কার করা না হলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আনছার আলী বলেন, আরাজি খোর্দ্দভুতছারা গ্রামের মানাস নদীর ওপর সেতুটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ। সেতুটি ভেঙ্গে বড় আকারের একটি সেতু নির্মাণের জন্য এলজিইডিতে চাহিদা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান জেমি জানান, নতুন সেতু নির্মাণের জন্য রংপুর নির্বাহী প্রকৌশল দপ্তরে চাহিদা দেওয়া আছে। বরাদ্দ পেলে দ্রুত সেতু নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে ১০ গ্রামের মানুষের দাবী সেতুটি নতুন করে তৈরী করে চরের মানুষের উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য ও যোগাযোগ সচল করার।

এইচআর