কাউনিয়ায় প্রতিবন্ধী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুন ১৯, ২০২৩, ০১:১১ পিএম
কাউনিয়ায় প্রতিবন্ধী গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার

রংপুরের কাউনিয়ায় এক  শ্রবণ প্রতিবন্ধী গৃহবধুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। 

রবিবার (১৮ জুন ) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামে পিতার বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। 

নিহতের নাম ফারজানা আক্তার (২৬) । তিনি কুর্শা ইউনিয়নের চন্ডিপুর গ্রামের সোরয়ারদী মাস্টারের মেয়ে ও হারাগাছ ইউনিয়নের নাজিরদহ চকরপানি গ্রামের জেনারুল ইসলামের স্ত্রী।

স্বজনদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, উপজেলার চন্ডিপুর গ্রামের সোরয়ারদী মাস্টারের মেয়ে ফারজানা আক্তার শ্রবণ প্রতিবন্ধী হওয়ায় বিয়ে পর  প্রায় দশ মাস ধরে বাবার  বাড়িতে বসবাস করছে। রবিবার বিকেলে মাস্টারের বাড়িতে প্রতিবেশী এক নারীর গাভীর দুধ দিতে এসে ঘরের মধ্যে ফারজানাকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে দেখতে পায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল স্থল থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে।

নিহতের পিতা সোরয়ারদী জানান, তার মেয়ে ফারজানা শ্রবণ প্রতিবন্ধী। এ কারণে শ্বশুর পরিবার ঝামেলা হওয়ায় মেয়ে আমার কাছে থাকে। বাড়ীতে তিনি ও মেয়ে থাকেন। তার ছোট স্ত্রীর সন্তান হওয়ায় উলিপুরে থাকেন। রবিবার সকালে মেয়েকে বাড়ীতে একা রেখে বিদ্যালয়ে যান তিনি। বিকেলে জানতে পারেন মেয়ে ঘরে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তিনি বলতে পারেন নাই। 

কুর্শা ইউনিয়ন পরিষদের এক নাম্বার ওয়ার্ডের সদস্য ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তবারক আলী বলেন, মেয়েটি প্রতিবন্ধি হওয়ায় স্বামী তাকে নিয়ে সংসার করতে চায় না। আমার সংসার করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছি। হয়তো এ কারণে মানসিক ভাবে ভেঙ্গে পড়ে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

কাউনিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোন্তাছের বিল্লাহ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ যায়।

স্বজনরা ওই নারী আত্মহত্যার  প্রকৃত কারণ  বলতে না পারায় রাত ৯ টায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফরেনসিক বিভাগে পাঠানো হয়েছে। তবে এ ব্যাপারে মেয়েটির পিতা বাদী হয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করেছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

আরএস