নবীনগরে বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা

নবীনগর (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২৩, ০৪:২৮ পিএম
নবীনগরে বেড়েছে অপরাধ প্রবণতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগরে মে মাসের শেষের দিক থেকে শুরু করে  জুলাইয়ের শুরু পর্যন্ত একাধিক খুন, ধর্ষণ, চুরি, ডাকাতি, মারামারির ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির  চরম অবনতি হয়েছে।

তথ্য সূত্রে জানা যায়, ২১শে মে উপজেলার শিবপুর ইউপি সদস্য খলিল মিয়াকে শিবপুর গ্রামের রাসেলের স্ত্রী আখি উঠিয়ে নিয়ে ২ লাখ টাকা আদায় করেছে, এছাড়া ২৭ শে মে পৌর এলাকার ভোলাচং গ্রামের লিল মিয়ার বিরুদ্ধে (৫৫) একই গ্রামের ১১ বছরের প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।

এছাড়াও একই দিনে লাউরফতেহপুরের ইউপি সদস্য মকবুল হোসেনের বিরুদ্ধে গুচ্ছগ্রামের এ নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। তাছাড়া ৫ই জুন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আবদুল্লাহ আল রুমানের হামলার স্বীকার হন একই গ্রামের আ.লীগ নেতা মহসিন, ৬ই জুন গাজিরগান্দি গ্রামের বায়েজিদ মিয়ার বিরুদ্ধে (১৬) তার প্রতিবেশী  সাড়ে তিন বছরের শিশুকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ ওঠে।

১৯শে জুন কড়ইবাড়ি গ্রামে বুইদ্যা নামক চুরের সাবলের আঘাতে মিলন মিয়ার স্ত্রী মরিয়ম (৭০) খুন হয়, ২৭শে জুন কুড়িঘর গ্রামের আবু ছালাম মিয়ার ছেলে ছগির মিয়ার (৩৫) ভাসমান মরদেহ তিতাস নদী থেকে উদ্ধার করে নবীনগর থানা পুলিশ।

তাছাড়াও ২৮শে জুন মেরকুটা গ্রামে অটোচুরির টাকার ভাগবাটোয়ারা নিয়ে একই গ্রামের জুনায়েদ, জুবায়েরের আঘাতে খুন হয় তাদের প্রতিবেশী মিয়াধন (৬৫), একই দিন সেমন্তর গ্রামের ৮ বছরের জুনায়েদ নামক এক শিশুর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার হয় তার নিজের ঘর থেকে। পহেলা জুলাই মহল্লা গ্রামে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে  আবদুর রহমানসহ (৬০) আহত হয় ১০ জন, একই তারিখ রাতে স্বপরিবারে হাত পা বেঁধে বগডহর গ্রামের গরুর খামারি খলিল মিয়ার ২১ লাখ টাকা ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

এতে উপজেলা জুড়ে আতংক বিরজ করছে, পূর্বে হত্যার মত অপরাধ টাকার বিনিময়ে সামাজিক শালিসে আপোষ মিমাংসা হওয়ায় এবং অপরাধীদের ছাড়াতে প্রভাবশালীদের তদবিরের কারণে বর্তমানে এর প্রবণতা বাড়ছে বলে একাধিক সুশীলরা ধারণা করছে।

আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে থানা প্রশাসনের সাথে কথা বলে দেশীয় অস্ত্র উদ্ধারসহ বিভিন্ন ধরনের অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এধরণের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান নবীনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একরামুল ছিদ্দিক।

এইচআর