রাজধানীর দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের কোন্ডা ইউনিয়নের আইন্তা এলাকায় রাতের আধারে কামাল হোসেন (৫০) নামে সাবেক এক ইউপি সদস্যকে মধ্যযুগীয় কায়দা নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় কিশোর গ্যাংদের বিরুদ্ধে।
কামাল হোসেন একই ইউনিয়নের পানগাও গ্রামের তৈয়ব আলীর ছেলে এবং ৪ নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ শুক্রবার দিবাগত রাত ১২ টার সময় কামাল মেম্বার হাসনাবাদ থেকে বাড়ি ফেরার পথে আইন্তা গায়েন বাড়ির সামনে এসে পৌছলে আগে থেকে উৎপেতে থাকা কিশোর গ্যাং সন্ত্রাসী নোমান, অনিক,আকাশ, হৃদয়সহ ১০/১২ জনের একটি সঙ্ঘবদ্ধ দল তার গাড়িতে আচমকা আক্রমণ করে ভাংচুর চালায় এবং তাকে মেরে গাড়ি থেকে তুলে একটি ঈদগাহে নিয়ে সেখানেও আরেক দফা মেরে মাটিতে পুতে ফেলার চেষ্টা করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শী সজল আহমেদ বলেন, রাত ১২ টার দিকে কামাল মেম্বার তার ব্যক্তিগত গাড়ি করে আমাকে বাড়িতে নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে অভিযুক্তরা তার গাড়ি ভাংচুর করে এবং তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কাটাছেঁড়া জখম করে। তার ডাক চিৎকারে আমি এগিয়ে এলে তারা আমাকেও হুমকি ধামকি দেয়। স্থানীয় শ্রমিক লীগ নেতাসহ আশেপাশের লোকজন জড়ো হলে তাকে ফেলে পালিয়ে যায়। পরে তার স্বজনসহ আমরা তাকে হাসপাতালে ভর্তি করি। তার দুই পায়ে, হাতে ও শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ক্ষত হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে মারামারি ঘটনার পর থেকে অভিযুক্তরা গা ঢাকা দিয়েছে। ভুক্তভোগীর মা,বোন,স্ত্রী আর বাচ্চাদের কান্না থামছেই না। তারা স্থানীয় এমপি, প্রশাসন ও প্রধানমন্ত্রীর নিকট বিচার চেয়েছেন। এলাকায় নিরাপদ বসবাসের প্রয়োজনে অভিযুক্তদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানান।
ঘটনার তিন দিন অতিবাহিত হলেও থানায় মামলা না নেওয়ার অভিযোগ ছিলো ভুক্তভোগীদের। তবে গতকাল বিকেলে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শাহ জামান।
আরএস