কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মারিয়া হত্যা মামলা কেঁচো খুড়তে কেউটে

কেরানীগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: জুলাই ২৫, ২০২৩, ০৯:০৩ পিএম
কেরানীগঞ্জে চাঞ্চল্যকর মারিয়া হত্যা মামলা কেঁচো খুড়তে কেউটে

এক সাথে মাদক গ্রহণ, দলবদ্ধ ধর্ষণ অত:পর নিজেরা বাচতে শ্বাসরুদ্ধকরে তরুণীকে হত্যা। এমন এক নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় মূল পরিকল্পনাকারী শাওন(২৫) কে ঘটনার এক বছর পর শরিয়তপুরের জাজিরা হতে গ্রেফতার করেছে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। 

মঙ্গলবার ( ২৫ জুলাই) দুপুরে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার কক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম। এসময় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা অলক কুমার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাবুদ্দিন কবিরসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে একই বাসায় ভাড়া থাকতেন দুই বান্ধবী বৃষ্টি ও মারিয়া। ঘটনারদিন অর্থাৎ ২০২২ সালের ৬ জুন প্রেমিক রাকিবের সাথে ঘুরতে বের হয়েছিলো কিশারী প্রেমিকা বৃষ্টি(১৬)  ও বান্ধবী মরিয়া(১৬) । ঘুরাঘুরির এক পর্যায়ে তারা চলে আসে কেরানীগঞ্জের খোলামোড়া টিনের মসজিদ এলাকার শিয়ালের গাড়া নামক দেয়াল বেষ্টিত জঙ্গলে, সেখানে একসাথে চলে মাদক সেবন, সাথে যুক্ত হয় শাওনের বন্ধু আলি আকবর, রিয়াজ ও সজিব।

মাদক সেবনের এক পর্যায়ে বৃষ্টি ও রাকিব এক অপরের সম্মতিতে মেলা মেশা করলে তাদের নজর পড়ে ১৬ বছরের কিশোরী মারিয়ার দিকে। মারিয়া এতে সাড়া না দিলে শাওন, সজিব,আলি আকবর ও রিয়াজ তাকে জোরপূর্বক পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের কথা পুলিশের কাছে জানিয়ে দিবে বলা মাত্রই ধর্ষকরা শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে মারিয়াকে। পরে মারিয়ার লাশ গুমের উদ্যেশ্যে  ভাসিয়ে দেওয়া হয় বামনশুর মসজিদের পুকুরে।

পরে অজ্ঞাতনামা হিসেবে মারিয়ার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ বাদী হয়ে মডেল থানা একটি মামলা দায়ের করেন। পরবর্তীতে মামলাটি অতীব গুরুত্ব বিবেচনায় পি বি আই এর হাতে হস্তান্তর করা হয়। পিবিআই এই মামলার এক বছরের অধিক সময় তদন্ত করার পরেও কোন রহস্য উদঘাটন করতে পারেনি। অন্যদিকে এই মাসেই অটো চালক নয়ন হত্যা মামলার তদন্ত ও এ মামলার আাসামি সজিব,আলী আকবার,রাকিব,রিয়াজ নামে ৪ আসামিকে গ্রেফতার করার মাধ্যমেই কাকতালীয়ভাবে মারিয়া হত্যার মূল রহস্য বেরিয়ে আসে।

ওই চার আসামি নয়ন হত্যার পাশাপাশি মারিয়াকেও গণধর্ষণ করে একটি পুকুরে ফেলে গুম করার লোমহর্ষক বর্ণনা দেয় পুলিশের কাছে।

আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতের পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আমিনুল ইসলাম।  এবং অতিদ্রুত সময়ের মধ্যে  পুলিশ প্রতিবেদন জমা দেওয়া হবে বলেও জানান এ কর্মকর্তা। 

আরএস