কোটি টাকা ব্যয়ে মার্কেট নির্মাণ

নওগাঁয় বদলে গেছে গ্রামীণ হাট বাজারের চিত্র

এম আর রকি, নওগাঁ প্রকাশিত: আগস্ট ১৬, ২০২৩, ০৬:১৭ পিএম
নওগাঁয় বদলে গেছে গ্রামীণ হাট বাজারের চিত্র

ফসলের কাংখিত দর নিশ্চিতে কোটি টাকার আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করায় বদলে গেছে  নওগাঁর গ্রামীন হাট বাজারে চিত্র । ক্ষেত থেকে তোলা সবজি এখন চাষীরা এসব মার্কেটের ঘরে মজুত রেখে প্রত্যাশিত দরে বিক্রি করতে পারছেন । ফলে তৃণমূল পর্যায়ে কমেছে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব। জেলার ৭ উপজেলায় নির্মাণ করা এসব মার্কেট প্রান্তিক চাষীদের অর্থনীতিতে বড় অবদান রাখবে বলে মনে করছে কৃষি সংশ্লিষ্টরা ।

চাষীরা তাদের উৎপাদিত সবজি বিক্রির জন্য প্রান্তিক হাটে নিয়ে আসেন। খোলা আকাশের নিচে সবজি কেনা বেচায় হঠাৎ আবহাওয়া খারাপ হলে বেপারীরা কমিয়ে দেন দর। এমন পরিস্থিতে চাষীরা উৎপাদিত সবজি কম দরেই বেপারীর হাতে তুলে দিতে বাধ্য হন।

এ অবস্থায় গ্রামীণ হাট বাজার উন্নয়ন প্রকল্পের অধিনে ২০২১ সালে নওগাঁর ৭ উপজেলায় শুরু হয় চাষীদের জন্য আধুনিক মানের মার্কেট নির্মাণ কাজ । ১৭ কোটি টাকার এ প্রকল্প বাস্তবায়নে বদলে গেছে গ্রামীণ হাট বাজারের চিত্র । 

দ্বিতল বিশিষ্ট এসব মার্কেটের নিচ তলায় মাছ মাংস বিক্রি পাশাপাশি রয়েছে সবজি সংরক্ষণের জন্য চারটি করে ঘর । আর মার্কেটের উপর তলায় রয়েছে ২২টি ঘর। এসব ঘরের মালিকানা  তৃণমূল চাষীদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে । চাষীরা বলছেন, এ মার্কেট নির্মাণের ফলে সবজির কাংখিত দর পাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে।

নওগাঁর তেতুলিয়া বাজারের চাষি হুমায়ন কবির বুলবুল, জুহুরুল ইসলামসহ বেশ কজন জানান আগে চাষীদের খুব অসুবিধা হতো। এ মার্কেট নির্মাণের ফলে চাষীরা আধুনিক ভবনে কেনা বেচা করতে পারবে। 

এসব মার্কেট নির্মাণের ফলে ফড়িয়া ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ব কমবে বলে মনে করছে  স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

নওগাঁর কৃর্তিপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আব্দুল হান্নান বলেন, গ্রামীণ হাট বাজারে পণ্যের দাম কম । এর কারণ কৃষকরা সংরক্ষণ করতে পারে না । এ মার্কেট বড় ভূমিকা রাখবে কৃষকের জন্য।

মার্কেটের নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর। ইতিমধ্যে তিনটি মার্কেট চাষীদের মাঝে হস্তান্তর করা হয়েছে। চলতি বছর আরও তিনটি হস্তান্তর করবে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। গ্রামীণ হাট বাজারে আধুনিক মার্কেট গড়ে উঠায় তৃণমূল অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে মনে করছে এ কর্মকর্তা। এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী মো. তোফায়েল আহম্মেদ বলেন, আমরা সাত উপজেলায় এ মার্কেট করছি। আগামীতে বাকি উপজেলায় করা হবে । 
জেলায়  প্রায় ৩৬ হাজার হেক্টর জমিতে সবজির আবাদ হয়। আর বছরে সাড়ে চার লাখ মেট্রিক টন সবজি গ্রামীণ হাট বাজারে বেচা কেনা করেন চাষীরা । 
এআরএস