নোয়াখালীতে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনায় মামলা

কবিরহাট (নোয়াখালী) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৯, ২০২৩, ০৫:১৯ পিএম
নোয়াখালীতে নৈশ প্রহরীকে হত্যা করে ডাকাতির ঘটনায় মামলা

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার চাপরাশিরহাট পশ্চিম বাজারে নৈশপ্রহরীকে হত্যা করে দুটি স্বর্ণের দোকান লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকাত দল। তবে এ ঘটনায় এখনো কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ। অন্যদিকে নিহতের পরিবারের আহাজারী থামছেইনা।

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী মিন্টু নাথ বাদী হয়ে এ ঘটনায় খুন ও ডাকাতি আইনে মামলা দায়ের করেন। এর আগে, একই দিন ভোর রাতের দিকে এ ঘটনা ঘটে। লুট হওয়া স্বর্ণালঙ্কারের বাজার মূল্য প্রায় তিন কোটি টাকা বলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা দাবি করেছেন।

নিহত নৈশ প্রহরী মো. শহিদ উল্যাহ (৫০) একই উপজেলার ধানশালিক ইউনিয়নের চর গুল্লাখালী গ্রামের বাসিন্দা।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানা যায় শুক্রবার রাত ৩টা থেকে ৪টার মধ্যে দিকে ২৫ থেকে ৩০ জনের সশস্ত্র ডাকাত দল পিকআপ ভ্যান নিয়ে চাপরাশিরহাট বাজারে হানা দেয়।

তারা বাজারের পশ্চিম অংশে মা-মণি জুয়েলার্সের লোহার ফটক কেটে ডাকাতি শুরু করে। এক পর্যায়ে তারা সঙ্গে করে নিয়ে আসা গ্যাস ওয়েল্ডিং কাটার যন্ত্র দিয়ে দোকানের লকারের বাম পাশের অংশ কেটে স্বর্ণালঙ্কার লুট করে, তবে লকারের ডান পাশের অংশ কাটতে পারেনি।

এ সময় বাজারের নৈশপ্রহরী মো. শহিদ উল্যাহ বাধা দিলে ডাকাতরা তাকে মাথায় আঘাত করে হত্যা করে। এরপর ডাকাতরা একই বাজারের নূর জুয়েলার্সের গ্যালারী থেকে ৬-৭ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ও নগদ ১৮ হাজার টাকা লুট করে নিয়ে যায় বলে দাবি করেন নুর আলম।

ওই সময় বাজারের শরিফ ক্লথ স্টোরের মালিকের ছেলে দোকানের জন্য মাল কেনার জন্য ঢাকা যাওয়ার সময় তাকে মারধর করে তার সঙ্গে থাকা টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

মা-মণি জুয়েলার্সের মালিক মিন্টু চন্দ্র নাথ জানান, ডাকাতেরা তার জুয়েলারি দোকানের লকার কেটে প্রায় ২৫০ ভরি সোনা, ১৫০ ভরি রুপা ও তিন লাখ টাকা লুট করে নিয়ে যায়।

নূর জুয়েলার্সের মালিক নূর আলম জানান, ডাকাতেরা তার দোকান থেকে প্রায় ৭ ভরি সোনা, ২৫০ ভরি রুপা লুট করে নিয়ে গেছে।

কবিরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম জানান, এ ঘটনায় একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় ১০-১৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটন করে আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চালাচ্ছে।  

এইচআর