শেরপুর-২ আসন

প্রবীণ-নবীনে নামমাত্র লড়াই, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ

নকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ১২:১৮ পিএম
প্রবীণ-নবীনে নামমাত্র লড়াই, কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির চ্যালেঞ্জ

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সংসদীয় আসন ১৪৪ শেরপুর-২ (নকলা-নালিতাবাড়ী) আসনে প্রবীণ-নবীনে নামমাত্র লড়াই চলছে। এই আসনে কাগজে কলমে তিন জন প্রার্থী থাকলেও, মাঠপর্যায়ে নৌকার কোন প্রতিদ্বন্দ্বি নেই বল্লেই চলে। তাই ভোটের দিন (৭ জানুয়ারি) কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিত করাটা এক প্রকার চ্যালেঞ্জ হবে বলে আশঙ্কা করছেন সাধারণ ভোটারসহ অভিজ্ঞজন।

এই আসনে তিন জন প্রার্থী নির্বাচন করলেও মূলত মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সফল কৃষিমন্ত্রী, জাতীয় সংসদের উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী এমপি ও তাঁর কর্মী সমর্থকগণ।

বাংলার অগ্নিকন্যা হিসেবে খ্যাত বেগম মতিয়া চৌধুরী (নৌকা)-এর মতো একজন হেভিওয়েট ও অভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন প্রার্থীর সাথে নির্বাচনে লড়ছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর মনোনীত প্রার্থী নালিতাবাড়ী উপজেলার বাসিন্দা সাংবাদিক লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া মশাল প্রতীক নিয়ে ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নালিতাবাড়ী উপজেলার নাগরিক সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুর ও তার কর্মী সমর্থকগণ ঈগল প্রতীক নিয়ে একপ্রকার ঢিলেঢালা মনোভাবে নির্বাচনী মাঠে কাজ করছেন।

নকলা ও নালিতাবাড়ী উপজেলার প্রতিটি এলাকার অলিগলিতে মতিয়া চৌধুরীর নৌকা প্রতীকের অজস্র পোস্টার টানানো হলেও অন্য দুই প্রার্থীর নিজ নিজ প্রতীকের যথেষ্ট পোস্টার টানানো হয়নি। স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মোহাম্মদ সাঈদ আঙ্গুরের ঈগল প্রতীকের বেশ কিছু পোস্টার নালিতাবাড়ীতে টানানো হয়েছে, তবে নকলা পৌর শহরে নামমাত্র কিছু ঈগল প্রতীকের পোস্টার ছাড়া এর বাহিরে পোস্টার নজরে পড়েনি। এছাড়া জাসদ মনোনিত প্রার্থী লাল মো. শাহজাহান কিবরিয়া’র মশাল প্রতীকের কিছু পোস্টার নালিতাবাড়ীতে ঝুলানো হলেও নকলা উপজেলার কোথাও মশাল প্রতীকের পোস্টার দেখা যায়নি।

মাইকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে নিয়মিত নৌকার প্রচার করা হলেও, নামমাত্র প্রচার করা হচ্ছে ঈগল প্রতীকের। তাছাড়া মশাল প্রতীকের প্রচারের অংশ হিসেবে নকলাতে ২ থেকে ৩ দিন মাইকে প্রচার করা হয়েছে। যদিও নকলাতে মশাল প্রতীকে ভোট প্রার্থনার কয়েকটি ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রার্থীর নিজের টাইম লাইনে দেখা গেছে। তবে নালিতাবাড়ীতে সব প্রতীকের (৩ জনের) প্রচার কাজ ভালো ভাবেই চলছে।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ছাড়া অন্য প্রার্থীদের প্রয়োজনীয় প্রচার-প্রচারণা না থাকায় কাঙ্খিত ভোট উৎসব হবে কি না; এমন সংশয় প্রকাশ করছেন সাধারণ ভোটারগণ। ভোট গ্রহনের দিন কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতির বিষয়টি এখন রাস্তা-ঘাট, হাট-বাজার ও প্রতিটি চায়ের দোকানে আড্ডার একমাত্র আলোচিত বিষয়।

একদিকে বিএনপির নির্বাচন বয়কট এবং ভোটারদের ভোটদানে নিরুৎসাহিতের প্রচারপত্র বিলি অব্যাহত আছে। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের প্রার্থীসহ নেতাকর্মীরা সমর্থকগণ মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। তারা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট প্রার্থনা করছেন। উঠান বৈঠক ও পথসভাসহ সকল প্রকার প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

উপজেলা, পৌরসভা ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় অনেকে বলেন, বিএনপির দাবি ও ভোটদানে ভোটারদের নিরুৎসাহিতের প্রচারপত্র বিলির বিষয়টি ভোটারদের মাঝে প্রভাব পড়বে না। তবুও তাদের এমন আচরণের চ্যালেঞ্জের বিষয়টি মাথায় নিয়েই ভোট কেন্দ্রে সর্বাধিক ভোটার উপস্থিতি নিশ্চিত করতে এবং নৌকা মার্কায় ভোট দিতে প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দফায় দফায় ওঠান বৈঠক, আলোচনা সভা ও গণসংযোগ করেছি।

এআরএস