নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক প্রকাশিত: জানুয়ারি ৫, ২০২৪, ০২:৪৮ পিএম
নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অভিযোগ

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং বর্তমান সংসদ সদস্য (এমপি) ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন একটি ঈদগাহের উন্নয়নের জন্য ২৫ লাখ টাকা অনুদান দেয়ার ঘোষণা এবং এর মধ্যে নগদ ১০ লাখ টাকা দিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রহিমপুর গ্রামের একটি ঈদগাহে গত বৃহস্পতিবার বিকালে নির্বাচনী জনসভায় এই ঘোষণা দেন তিনি। তার এমন ঘোষণার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে।

ওই ভিডিওতে দেখা গেছে, গ্রামবাসীর উদ্দেশে ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুন বলেন, ‘ঈদগাহটা সুন্দরভাবে আরো বড় করতে হবে। আমার মনে হয়, এটি দেখতে খুব সুন্দর হবে। আমার নিজের তহবিল থেকে ২৫ লাখ টাকা দেব, আজ ১০ (লাখ টাকা) দিয়ে যাচ্ছি। কাজ শুরু করেন। ২০ থেকে ৩০ শতাংশ কাজ শেষ হলে নির্বাচনের পর বাকিটা দিয়ে দেব। ধাপে ধাপে কাজটা হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন প্রার্থীর নির্বাচনী খরচ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না। নির্বাচন কমিশন প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় ভোটারপ্রতি নির্বাচনী ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করেছে। তবে নির্বাচনী এলাকার এই ব্যয় ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না।

এ ঘটনায় শরীফুল আলম চৌধুরী (মাছ প্রতীক) নামে ওই আসনের অপর এক প্রার্থী নির্বাচন কমিশনের মাঠ কর্মকর্তা সহকারী রিটার্নিং অফিসারের দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, নির্বাচনী এলাকার ১৫ নং নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্গত রহিমপুর পঞ্চায়ন শাহি ঈদগাহ মাঠের উঠান বৈঠকে ঈদগাহ ও কবরস্থান উন্নয়নের জন্য ব্যক্তিগত তহবিল হতে তাৎক্ষণিক ১০ লাখ টাকা অনুদান প্রদান এবং ধাপে ধাপে মোট ২৫ লাখ টাকা ব্যক্তিগত অনুদান দেয়ার ঘোষণা দেন ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুন। যা নির্বাচনী আরচণবিধি পরিপন্থী। নির্বাচনী আচরণবিধি গুরুতরভাবে ভঙ্গ করায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।

এ ঘটনায় কুমিল্লা-৩ আসনে কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের গামছা প্রতীকের প্রার্থী মো. বশির সরকার ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এর আগে স্বতন্ত্র প্রার্থী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম সরকার নৌকার প্রার্থী ইউসুফ আবদুল্লাহ হারুনের বিরুদ্ধে নির্বাচনী জনসভায় লাখ লাখ টাকা খরচ করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ করেন। সেসব অভিযোগের বিষয়ে নির্বাচন কমিশন এখনো কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’

আরএস