মানিকগঞ্জের সড়ক ও জনপথের গাছ চুরির অভিযোগে সংবাদ প্রকাশের পর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জিলানী তার অফিসের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেনকে বাঁচাতে সাতজন শ্রমিককে শোকজ করে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের ঘিওর উপজেলার বানিয়াজুরী এলাকা থেকে সড়ক ও জনপথের ট্রাকের ড্রাইভার বাবুল মিয়া ও ৭জন শ্রমিক নিয়ে রাস্তার পাশে থাকা বাবলা গাছ কেটে গাড়িতে তুলছে। ওই সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন উপজেলা বন কর্মকর্তা। তিনি চুরি করা গাছ ও গাড়িসহ আটক করে জেলা বন কর্মকর্তার অফিসে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে আটককৃত গাছ রেখে গাড়ি ও সওজের কর্মচারিদের ছেড়ে দেয় তারা।
অনুসন্ধানে জানা যায়, উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেনের নেতৃত্বে ১৫ দিন আগেও একটি শিশু কাঠ ও দুইটি বন নিম গাছ পুখুরিয়া স্টোন ব্রিক্স’র সামনে থেকে কেটে নিয়ে বানিয়াজুরী ইদ্রিস মিয়ার স’মিলে নেন চিরানোর জন্য।
সওজ’র ড্রাইভার বাবুল মিয়ার কাছে জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ফারুক স্যারের নির্দেশে আমরা গাছ নিয়েছি। এই গাছ দিয়ে আমরা বিটুমিন গরম করে রাস্তা মেরামতের কাজ করি।
সড়ক ও জনপথের উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন বলেন, ‘গতকাল গাছ কাটার কোন নির্দেশনা আমি দেইনি। তবে আপনারা আজকে স’মিলে যে গাছ দেখেছেন সেগুলো আমি কাটতে বলেছি। এই গাছতো আমি নিজের ব্যক্তিগত কাজে লাগাইনা। এই গাছ রাস্তা মেরামতের জন্য বিটুমিন গরম করার কাজে ব্যবহার করি।’
বিটুমিন গরম করার সরকারি বাজেটের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অনেকসময় বাজেটের টাকায় হয় না,তাই আমরা এসব গাছের কাঠ পুড়িয়ে বিটুমিন গরম করে রাস্তা মেরামত করি।’
এ বিষয়ে জেলা বন কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আমি ঘিওর উপজেলা অফিস হতে লোক পাঠিয়েছি বানিয়াজুরী স’মিলে, তিনি কাঠগুলো জব্দ করে স’মিলের মালিক ইদ্রিস মিয়ার কাছে রেখেছে।’
সওজ এর উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আব্দুল কাদের জিলানীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমাদের রাস্তার গাছ কাটার কোন পারমিশন নেই। আমার উপ-সহকারী প্রকৌশলী ফারুক হোসেন গাছ কাটার পারমিশন দেয় নাই। যারা গাছ কেটেছে তাদেরকে শোকজ করেছি। আমরা সরকারি বাজেট থেকে বিটুমিন গরম করে রাস্তা মেরামত করি।’
এআরএস