সিঙ্গাইরে রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

সিঙ্গাইর (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২৪, ০৩:২৭ পিএম
সিঙ্গাইরে রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ, ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী
ছবি: আমার সংবাদ

মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দীর্ঘদিনের ব্যবহারের রাস্তা বন্ধ করে ভবন নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে সিঙ্গাইর উপজেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেনের বিরুদ্ধে। সিঙ্গাইর পৌর এলাকার ঘোনাপাড়া গ্রামের ওই রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। 
এ বিষয়ে এলাকাবাসী গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েও কোন প্রতিকার পাচ্ছেন না।

অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সিঙ্গাইর পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের ঘোনাপাড়া-বকচর গ্রামের সংযোগের রাস্তাটি দিয়ে দীর্ঘ ১৫-২০ বছর যাবৎ সাধারণ মানুষ ও একটি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে আসছে। ওই রাস্তার পাশের একটি জমিক্রয় করেন বলধারা ইউনিয়নের পারিল গ্রামের বিএনপির নেতা আওলাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তি। জমিটি ক্রয় করার পর আওলাদ হোসেন দীর্ঘ দিনের ব্যবহারের রাস্তাটি বন্ধ করে একটি ভবন নির্মাণ শুরু করেন। এতে ভোগান্তিতে পরে কয়েকটি গ্রামের হাজার খানেক সাধারণ মানুষ। বেশি অসুবিধা হচ্ছে গোবিন্দল-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীদের।

বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মরিয়ম আক্তার মাহি বলেন, এই রাস্তা দিয়ে আমরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতাম। রাস্তাটি বন্ধ করায় খুবই অসুবিধা হচ্ছে। রাস্তাটি পুনরায় উদ্ধার করে চলাচলের উপযোগী করার দাবি জানাই প্রশাসনের কাছে।

গোবিন্ধল-ঘোনাপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, রাস্তাটি বন্ধ করায় তিন গ্রামের শিক্ষার্থীরা চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। ওই রাস্তা দিয়ে বকচর, বিনোদপুর ও নয়াপাড়া গ্রামের শিক্ষার্থীরা সহজে স্কুলে আসা-যাওয়া করতো। রাস্তাটি বন্ধ করায় শিক্ষার্থীদের চরম অসুবিধা হচ্ছে।

স্থানীয় আখতারুজ্জামান সোহেল বলেন, রাস্তাটি সচল রাখার জন্য এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষর দিয়ে উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেও প্রতিকার পাচ্ছি না। উল্টো আমাকেসহ অভিযোগকারীদের ভয়ভীতি ও মিথ্যা মামলা দেওয়ার পাঁয়তারা করছেন প্রভাবশালী আওলাদ হোসেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে অভিযুক্ত আওলাদ হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলে তিনি রিসিভ করেননি।

পৌর মেয়র আবু নাঈম মো. বাশার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। পৌরসভার নিয়ম অনুযায়ী ৩ ফিট রেখে কাজ করতে হবে সে নাকি সেটিও করেনি। পৌরসভা থেকে চিঠি দিয়ে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পলাশ কুমার বসু বলেন, এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে গণস্বাক্ষরসহ একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে। খুব দ্রুত তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং শিক্ষার্থীদের জন্য অবশ্যই যেটা সহজ সেটাই করে দেব।

ইএইচ