ফেনীতে পোল্ট্রি খামারি ও শিশুর লাশ

ফেনী প্রতিনিধি প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ১১:৪৪ এএম
ফেনীতে পোল্ট্রি খামারি ও শিশুর লাশ

ফেনীর কালিদাস পাহালিয়া নদী থেকে আবুল কাসেম (৫২) নামে এক পোল্ট্রি খামারির ও অপর একটি পুকুর থেকে মো. আনাস (৪) নামে এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।

শুক্রবার জেলার ফুলগাজী উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া ও ছাগলনাইয়া উপজেলার পশ্চিম শিলুয়া এলাকায় থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়েছে।

এর মধ্যে নিহত আবুল কাসেমের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোণা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায়। তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে পরিবার নিয়ে ছাগলনাইয়া উপজেলা বসবাস করছিলেন।

নিহতের পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ছাগলনাইয়া উপজেলার পাঠাননগর ইউনিয়নের পশ্চিম শিলুয়া গ্রামে স্ত্রীসহ দুই ছেলে ও দুই মেয়েকে নিয়ে বসবাস করে একই গ্রামের ইকবাল হোসেনের কাছ থেকে একটি খামার ভাড়া নিয়ে পোল্ট্রি ব্যবসা করতেন তিনি।

বৃহস্পতিবার রাতে খামারে গিয়ে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা তাকে খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে খামারের পাশে কালিদাস পাহালিয়া নদীতে তার লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেওয়া হয়।

নিহতের পরিবারের দাবি, স্থানীয় এক ব্যক্তির সঙ্গে আবুল কাসেমের বিরোধ ছিল। পূর্ব শত্রুতার জেরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটনা ঘটিয়েছে সেই প্রতিপক্ষ।

ছাগলনাইয়া থানার ওসি মো. হাসান ইমাম জানান, নিহতের মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। পুলিশের ধারণা তাকে মেরে নদীতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে নিহতের স্ত্রী লিজা আক্তার বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।

এদিকে ফুলগাজীতে পুকুরে ডুবে নিহত আনাস একই উপজেলার আমজাদহাট ইউনিয়নের খাজুরিয়া গ্রামের প্রবাসী মো. আবুল কালামের ছেলে।

নিহতের খালাতো ভাই মো. আবদুল আলিম জানান, শুক্রবার দুপুরে শিশুটির মা রান্নার কাজে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময় আনাস বাইরে খেলছিল। একপর্যায়ে পরিবারের লোকজন তাকে না পেয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরবর্তীতে শিশুটির লাশ পুকুরের পানিতে ভাসতে দেখে দ্রুত উদ্ধার করে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় আমজাদহাট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মির হোসেন মিরু পুকুরে ডুবে এক শিশুর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ইএইচ