মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার নিহালপুর গ্রামে বসন্ত মেলার নামে জমজমাট লটারি নামক জুয়া ও অশ্লীল নাচ বন্ধের নির্দেশ দিলেন থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দর রউফ।
জানা যায়, মেলাসহ আশেপাশের দশ গ্রামে প্রতিদিন নানা চটকদার বিজ্ঞাপন দিয়ে চলছিল লটারি বিক্রি।এছাড়াও অভিযোগ উঠেছিল মেলায় সার্কাসের নামে অশ্লীল নাচ পরিবেশনের।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) থেকে বসন্ত মেলা শুরু করেন মাসুদ মেম্বার। মেলার শুরুতেই রাতে সার্কাসের নাইটশো মঞ্চে নাচানো হতো নারীদের, বিক্রি হত জুয়া নামক লটারি। এতে একদিকে গ্রামের সাধারণ মানুষ পরিবার নিয়ে সার্কাস দেখতে এসে অশ্লীল নিত্য দেখে অনেকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে হতো। অন্যদিকে দিনরাত উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে গ্রামের এসএসসি পরীক্ষার ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হতে চলছিল।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে বলেন, সার্কাসের নামে অশ্লীল নাচ আর লটারি নামক জুয়া বন্ধ না হলে এলাকার যুবসমাজ বিপথে চলে যাবে। লটারি-জুয়ার কারণে এলাকায় চুরিসহ বিভিন্ন অপকর্ম বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও ধারণা করেন তারা।
তারা আরো বলেন, আমরা এই অশ্লীল নিত্য ও লটারি নামক জুয়ার সম্পূর্ণ বিরোধী। এলাকার যেসব দিনমজুর লটারির মোটরসাইকেলের নেশায় পড়ে প্রতিদিন ২০০/৩০০ টাকা দিয়ে টিকিট কিনছে তাদের পারিবারিক ভাবে সংসারে অশান্তি বাঁধছে বিধায় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
মেলা কমিটির সভাপতি মাসুদ মেম্বার লটারি বিক্রির কথা স্বীকার করে বলেন, আমার এই মেলায় অশ্লীল কোন নিত্য হয় না। লটারি যদি জুয়ার আওতায় পড়ে তাহলে আমি বন্ধ করে দিব।
শিবালয় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রউফ বলেন, মেলা কমিটিকে আমি মেলা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছি। এখন এসএসসি পরীক্ষা চলছে, ছাত্র-ছাত্রীদের লেখাপড়ায় ক্ষতি হবে। আমার থানাধীন এলাকায় কোন রকম অপকর্ম চলতে দেওয়া যাবে না। কেউ যদি আইন অমান্য করে কোন রকম কাজ করে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।
এআরএস