শরীয়তপুরের জাজিরায় খুন হয়েছে একটি হত্যা মামলার প্রধান আসামি মিন্টু ব্যাপারী (৬০) নামের এক ব্যক্তি।
শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার সেনেরচর ইউনিয়নের সাকিম আলী মাদবরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মন্টু ব্যাপারী (৬০) সেনেরচর ইউনিয়নের ভোলাই মুন্সী কান্দি গ্রামের আরশেদ আলী বেপারীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা ও নিহতের স্বজনরা জানায়, একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে শুক্রবার সন্ধ্যায় মন্টু ব্যাপারী, তার ছোট ছেলে মুছা ও ভাতিজা বাবু ব্যাপারী মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফিরছিলেন। সাকিম আলী মাদবর কান্দি এলাকায় আসার পর এমদাদ মাদবর ও তার লোকজন তাদের গতিরোধ করে ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দিলে আত্মরক্ষার জন্য মিন্টু পাশের মালেক মাদবরের ঘরে দৌড়ে প্রবেশ করে। এ সময় ওই দুর্বৃত্তরা মালেক মাদবরের ঘরের দরজা ভেঙে ঢুকে তাদেরকে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয় ও তার পরিবারের সদস্যরা গিয়ে তাদের উদ্ধার করে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মন্টু বেপারীকে মৃত ঘোষণা করেন।
মন্টু বেপারীর চাচাতো ভাই মামুন ব্যাপারী জানান, এমদাদ মাদবর ও দেলোয়ার মাদবরের লোকজন আমার ভাইকে হত্যা করেছে। তারা আগে থেকেই হত্যার পরিকল্পনা করেছিল। আমার ভাই বাড়িতে ফেরার সময় তার ওপর হামলা চালানো হয়। আমার এক ভাতিজার হাতের কয়েকটি আঙুল পড়ে গেছে, তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
জাজিরা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান বলেন, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিনের শত্রুতা ছিল। এই শত্রুতার জের ধরেই মন্টু ব্যাপারী নামের একজনকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। মন্টু বেপারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
ইএইচ