ফরিদপুরে ৫ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৯, ২০২৪, ০৮:৩৩ পিএম
ফরিদপুরে ৫ পরিবারের সংবাদ সম্মেলন

ফরিদপুর সদর উপজেলার মাচ্চর ইউনিয়নের দয়ারামপুর গ্রামের ৫টি পরিবারের নাবালক শিশুসহ প্রায় ২৫ জন সদস্য দীর্ঘ প্রায় দুই বছর ধরে নিজ বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ হয়ে যাযাবরের মতো জীবনযাপন করছেন।

মিথ্যা মামলা দিয়ে তাদের বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করে লুটপাট করা হয় তাদের ঘরবাড়ি। ঘরের টিন, বেড়া, জানালা, দরজা, আসবাবসহ লুটপাট করে প্রায় ২ কোটি টাকার ক্ষতি করে প্রতিপক্ষরা।

শনিবার তাদের নিজ বসতভিটায় বসবাসের অধিকার ফিরে পেতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে এই ৫টি পরিবারের সদস্যরা।

অসহায় ৫টি পরিবার হল- মো. হারুন শেখের পরিবার, সহিদ শেখের পরিবার, লিয়াকত শেখের পরিবার, জাহিদ শেখের পরিবার এবং তাদের ভাগনে সাছু মৃধার পরিবার।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠ করেন হারুন শেখের মেয়ে নাছরিন আক্তার।

নাছরিন আক্তার বলেন, আমরা বিবাদীদের ভয়ে বর্তমানে আমাদের নিজ নিজ ভিটায় প্রায় ২ বছর যাবত বসবাস করতে পারছি না। আমিসহ আমাদের ৫টি পরিবারের সমস্ত লোকগুলো ফেরারি অবস্থায় এলোমেলোভাবে অর্ধাহারে অনাহারে দিনাতিপাত করছি। আমাদের পরিবারের প্রায় ৩০ বিঘা জমি আমরা চাষাবাদ করতে পারছি না। কিছু জমি বিবাদীরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে।

তিনি বলেন, বর্তমানে আমাদের ৫টি পরিবারের ছোট বড় নাবালক শিশুসহ আনুমানিক ২৫ জন সদস্য বিবাদীদের ভয়ে জীবনের নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। আমরা আমাদের নিজ নিজ বসতভিটায় নতুন করে ঘর তুলে শান্তিতে বসবাস করতে পারি এবং আমাদের চাষের জমিতে চাষাবাদ করে ফসলাদি বুনানো করে ভোগ করে জীবন যাপন করতে পারি তার জন্য সরকার, প্রশাসন ও সাংবাদিকদের কাছে আকুল আবেদন করছি।

সংবাদ সম্মেলনে জাহিদ শেখে স্ত্রী আকলিমা বেগম বলেন, তিল তিল করে গড়ে তোলা আমার ঘরের একটা টিনও রাখে নাই তারা। সব লুটে নিয়ে গেছে। টিভি ফ্রিজ, পেঁয়াজ টিন দরজা জানালা সব নিয়ে গেছে। আমার হাতে লাগানো গাছগুলো কেটে রেখে গেছে। আমি এর সঠিক বিচার চাই, আমরা আমাদের ক্ষতিপূরণ চাই।

হারুন শেখ বলেন, আমাদের পারিবারিক জমিজমা নিয়ে আমাদের ফুপাতো ভাইদের সাথে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ ছিল। তা নিয়ে দফায় দফায় সালিশ ও মামলা চলমান রয়েছে। ২০২২ সালের ৩০ আগস্ট জমি নিয়ে ফুপাতো ভাই মোহাম্মদ শেখ, ভাতিজা আক্কাস শেখ, সাখাওয়াত শেখ তাদের সাথে একটি মারামারির ঘটনা ঘটে। সে ঘটনায় তাদেরই ভারাটে গুন্ডার লাঠির আঘাতে মোহাম্মদ শেখ আহত হলে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিন দিন মারা যায়। তবে মারামারির ঘটনাস্থলে আমি বা আমার পরিবারের কেউ ছিল না। তবুও আমাকে মামলার আসামি করা হয়েছে। আমি মামলায় আত্মসমর্পণ করে স্থায়ী জামিনে আছি।

ইএইচ