ফরিদপুরে ৫০ কোটি টাকার মিষ্টিকুমড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ফরিদপুর প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ০২:০৮ পিএম
ফরিদপুরে ৫০ কোটি টাকার মিষ্টিকুমড়া উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা

ফরিদপুরের পদ্মার বুকজুড়ে বিস্তীর্ণ পতিত জমিতে মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। কয়েক বছর আগেও যেখানে ফসল ফলানো ছিল অসম্ভব ব্যাপার। সেখানের পতিত জমি ব্যবহার উপযোগী করে ফসল ফলাচ্ছেন চরাঞ্চলের মানুষ। কয়েক বছর ধরে বেলে মাটিতে কুমড়া চাষ করে সফল চরাঞ্চলের চাষিরা।

জানা গেছে, চলতি বছরে অন্তত ৫০ কোটি টাকার অধিক মূল্যের মিষ্টিকুমড়া উৎপাদন হয়েছে নয়টি উপজেলায়। খেত থেকে কুমড়া কিনতে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ব্যাপারীরা আসছেন এখানে। এছাড়া আশপাশের বিভিন্ন হাটে-বাজারে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টিকুমড়া। এ বছর কুমড়ার বাম্পার ফলন এবং দাম ভালো পাওয়ায় খুশি চাষিরা। প্রতিকেজি মিষ্টিকুমড়া খেতেই পাইকারি দরে ১৫ থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

চাষি হাসেম শেখ জানান, প্রতিবিঘা জমিতে মিষ্টিকুমড়া আবাদে খরচ হয়েছে প্রায় ১৫ হাজার টাকা। আর বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকায়। আমরা গাড়িতে করে বিক্রি করি। কেউ মণ হিসেবেও বিক্রি করে আবার খেত ধরেও বিক্রি করে দেয়। এক হাজার ৫০০ টাকার কুমড়ার বীজ লাগে আর অল্প কিছু সারের খরচ লাগে। এতে কুমড়ার ফলন ভালো এবং বিক্রিও হচ্ছে ভালো।

কুমড়ার ব্যাপারী মো. আলম হোসেন বলেন, চরাঞ্চলে এবার মিষ্টিকুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। খবর পেয়ে আমরা মধুখালী থেকে কিনতে এসেছি। কুমড়ার খেত থেকে সরাসরি ক্রয় করে ট্রাকে করে বিভিন্ন জেলায় অল্প লাভে বিক্রি করে দেই। খেত থেকে প্রতিমণ মিষ্টিকুমড়া ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা দরে অল্প লাভে জেলার অন্যত্র বিক্রি করছি।

এ ব্যাপারে ফরিদপুরের কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ফরিদপুরে এ বছর কুমড়ার চাষাবাদ হয়েছে ৮৫০ হেক্টর জমিতে। জেলায় এ বছর ৫০ কোটি টাকারও বেশি দামের কুমড়া বাজারজাতকরণ হবে বলে আশা চাষিদের।

তিনি আরও বলেন, গত কয়েক বছর ধরে অনাবাদি জমি চাষের উপযোগী করে তুলেছেন চরাঞ্চলের চাষিরা। এছাড়া পদ্মা সেতুর কারণে যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ অঞ্চলের চাষিরা লাভবান হচ্ছেন।

এ বিষয়ে ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল আহসান তালুকদার বলেন, ফরিদপুরে অপার সম্ভাবনাময় সবজি মিষ্টিকুমড়া। চরাঞ্চলের পতিত জমি ছাড়াও পুরো জেলায় এ বছর ৫০ কোটি টাকারও বেশি দামের কুমড়া বাজারজাতকরণ হবে বলে চাষিদের আশা।

ইএইচ