স্কলারশিপ পেয়েও বিদেশে পড়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় সোলাইমান

রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মার্চ ৩০, ২০২৪, ০৭:০০ পিএম
স্কলারশিপ পেয়েও বিদেশে পড়া নিয়ে অনিশ্চয়তায় সোলাইমান

বাগেরহাটের রামপালে স্কলারশিপ পেয়ে বিদেশে পড়তে যাওয়ার জন্য জোগাড় করা বিপুল পরিমাণ টাকা ইমদাদ নামের এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে আত্মসাৎ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বিদেশে পড়তে যাওয়া নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন মেধাবী শিক্ষার্থী সোলাইমান।

প্রতারণা করে বিপুল পরিমাণ টাকা ফেরত পাওয়ার জন্য ভুক্তভোগী সোলাইমানের মা গত ১০ মার্চ খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আ. খালেক বরাবর অভিযোগ করেছেন।

অভিযোগ পেয়ে সিটি কর্পোরেশনের মেয়র টাকা আত্মসাতের বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রামপাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রহিমা সুলতানা বুশরা দায়িত্ব দেন।

তিনি রামপাল থানার ওসি সোমেন দাসকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

লিখিত অভিযোগে কুলসুম বেগম জানান, তার ছেলে মেধাবী শিক্ষার্থী মো. সোলাইমান স্কলারশিপের মাধ্যমে ভারতের গুজরাট বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়ে অধ্যয়ন করার সুযোগ পায়। ভারতে ভর্তি ও ভিসার জন্য ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জমা দিতে বলে ভারতীয় দূতাবাস। তখন তারা জমি ও সহায়সম্বল বিক্রি করে ৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা জোগাড় করেন। সেই টাকা নিয়ে ভারতীয় দূতাবাসের আমন্ত্রণে খুলনাস্থ ভারতীয় ভিসা কার্যালয়ে ২০২৩ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হন। পথে পেড়িখালী খেওয়াঘাটে তাদের সাথে চাচাতো ভাই ইমদাদের সাথে দেখা হয়। এ সময় সে তার ভাইকে সব খুলে বলেন বোন কুলসুম।

সব শুনে ইমদাদ বলেন, সব টাকা আমার কাছে দাও, আমি টাকা জমা দিয়ে মানি রিসিট এনে দিবো। এরপরে টাকাগুলো তার কাছে দেয়া হয়। সেই টাকা জমা না দিয়ে সে টাকা আত্মসাৎ করে। টাকা ফেরত চাইলে বলেন, আমি তোমার ছেলেকে আর্মির চাকরি দিয়ে দিবো বলো ঘোরাতে থাকে।

কুলসুম বলেন, আমার ছেলের চাকরি লাগবে না। টাকা ফেরত দাও। এক পর্যায়ে সে একলক্ষ টাকা ফেরত দেয়। বাকী টাকা চাইতে গেলে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী।

অভিযোগের বিষয়ে ইমদাদুল বলেন, টাকার একটা বিষয় ছিল, সেটি আমার সাথে না। তবে টাকা দেওয়ার সময় তিনি উপস্থিত ছিলেন, তবে টাকা নেননি। বন্দুকের ভয়ভীতিসহ সকল অভিযোগ অস্বীকার তিনি অস্বীকার করেন।

এ বিষয়ে রামপাল থানার ওসি সোমেন দাস জানান, অভিযোগের কপি পেয়েছি। তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ইএইচ