সলঙ্গায় মন্দিরের পুকুরে মাছ চুরি, ধরাছোঁয়ার বাহিরে চোরচক্র

সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : প্রকাশিত: এপ্রিল ৩, ২০২৪, ১২:১৯ পিএম
সলঙ্গায় মন্দিরের পুকুরে মাছ চুরি, ধরাছোঁয়ার বাহিরে চোরচক্র

সিরাজগঞ্জের সলঙ্গা থানার চৈত্রহাটিতে অবস্থিত শ্রীশ্রী জগদীশ্বরী মাতা মন্দিরের পুকুর থেকে মাছ চুরিরর ঘটনা ঘটেছে।

এ ঘটনায় মাছসহ মাছ চুরিতে ব্যবহৃত একটি নসিমন গাড়ি জব্দ করা হয়। এ সময় মাছ চোর দৌড়ে পালিয়ে যায়। মঙ্গলবার সকালে চুরিকৃত মাছ স্থানীয় আরৎ এ বিক্রি করা হলেও চুরি কাজে ব্যবহৃত জব্দকৃত নসিমন ছেড়ে দেওয়ায় অভিযোগ উঠেছে। মাছ চুরির সাথে কে বা কাহারা জড়িত তাদের গ্রেফতার না করে চুরি কাজে ব্যবহৃত নসিমন গাড়িটা ছেড়ে দেওয়ায় এলাকাবাসী হতাশা প্রকাশ করছেন।

সোমবার রাতে স্থানীয়রা রাতের অন্ধকারে মন্দিরের পুকুর থেকে  মাছ চুরি করে মারতে  দেখে ৯৯৯ ফোন করে জানায়। পরে সলঙ্গা থানা পুলিশ মাহমুদপুর বাজারে মাছসহ ডিজেলচালিত নসিমন গাড়িটি জব্দ করে ইউপি সদস্য নায়েব আলীর জিম্মায় রাখেন। সকালে মাছ বিক্রি করে মাছের অর্থ ১৬ হাজর টাকা মন্দির কমিটি দেওয়া হলে অজ্ঞাত কারণে চুরি কাজে ব্যবহৃত নসিমন গাড়িটি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সলঙ্গা থানার উপ-পরিদর্শক এ এস আই কুদ্দুস জানান, সোমবার রাতে মাছ ও মাছের গাড়ি জব্দ করে স্থানীয় ইউপি সদস্য নায়েব আলীর কাছে জমা রাখা হয়েছে। পরে কি হয়েছে আমার জানা নেই।

রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য নায়েব আলী জানান, রাতে পুকুর থেকে চুরি করে মাছ নিয়ে যাওয়ার পথে মাছ ও নসিমন গাড়ি আটক করে সলঙ্গা থানা পুলিশ।

তিনি জনান, আটককৃত মাছ ও নছিমন আমার কাছে রেখে যায়, সকালে মাছ বিক্রি করা হয়েছে। বিক্রীত টাকা মন্দির কমিটির কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

চুরি কাজে ব্যবহৃত নসিমন গাড়ির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলতে পারেন না কোথায় গাড়ি আছে।

সলঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক বলেন, আমি জানি না। একটু একটু জানি ইউএনও স্যারের সাথে কথা বলেই  যা করার করেছি।

জব্দকৃত গাড়ি কোথা আছে বা কি করা হয়েছে এমন প্রশ্নের উত্তর জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কিছুই জানি না। এঘটনায় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা যে নির্দেশ দিয়েছে আমি সেই ভাবেই কাজ করেছি এর যে বেশি কিছু জানি না।

উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সানজিদা সুলতানা বলেন, চৈত্রহাটি মন্দিরের পুকুর থেকে মাছ চুরির পরে মাছ ও একটি নসিমন গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। বিষয়টি জানার পরে আমি মাছ বিক্রি করে মন্দিরে টাকা জমা দিতে বলেছি। কিন্তু জব্দকৃত গাড়ি কোথায় আছে বা চুরির সাথে কারা জড়িত এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না বলে জানান।

স্থানীয়রা বলছেন প্রতিরাতে মন্দিরসহ বিভিন্ন পুকুর থেকে মাছ চুরি করে ধরা হয়। চুরির সাথে যে ব্যক্তিরা  জড়িত আছে আইনের আওতায় এনে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানান তারা।

বিআরইউ