বরিশালে পুরোনো বাস মেরামতের হিড়িক

বরিশাল ব্যুরো প্রকাশিত: এপ্রিল ৪, ২০২৪, ০৩:১৪ পিএম
বরিশালে পুরোনো বাস মেরামতের হিড়িক

পবিত্র ঈদুল ফিতর সামনে রেখে বরিশালে পুরোনো বাস মেরামত করে নতুন করার হিড়িক পড়েছে। ওয়ার্কশপগুলোতে দিন-রাত চলছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মেরামত ও রঙের কাজ।

পদ্মা সেতু চালু হওয়ায় পর ঈদে নদীপথের চেয়ে সড়কপথে ভিড় থাকবে অনেকটা বেশি। অন্যদিকে সচেতন মহল মনে করছে এতে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাবে।

লক্কড়-ঝক্কড় কোনো গাড়ি মহাসড়কে চলতে পারবে না বলে জানিয়েছেন বিআরটিএ পরিচালক এবং পুলিশ প্রশাসন। বরিশালে কেন্দ্রীয় নথুল্লাবাদ বাস টার্মিনাল ও রূপাতলী টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লার রুটে সহস্রাধিক বাস চলাচল করে।

ঈদ উপলক্ষে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলে নদীপথের চেয়ে সড়কপথে ভিড় থাকবে বেশি। সেই সুযোগটিই কাজে লাগাতে একশ্রেণির অসাধু পরিবহন মালিক, লক্কড়-ঝক্কড় বাস সড়কে নামানোর অপতৎপরতা চালাচ্ছেন। এদিকে ঈদ উপলক্ষে যাত্রীচাপ বাড়ায় ওয়ার্কশপগুলোয় দিন-রাত চলছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মেরামত ও রঙের কাজ। বাস মেরামতে চলছে জোর ব্যস্ততা। রংতুলির আঁচড়ে মুহূর্তেই পুরাতন বাস হয়ে উঠছে নতুন। ঈদের আগেই অর্ডার শেষ করতে হবে। তাই কাজের চাপে দম ফেলার ফুরসত নেই শ্রমিকদের।

সচেতন মহল মনে করছে লক্কড়-ঝক্কড় বাস মহাসড়কে চললে দুর্ঘটনা বৃদ্ধি পাবে।

বরিশালের জেলা প্রশাসক মো. শহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র মহাসড়ক থেকে অনেক মানুষ বরিশালে আসবে। যাত্রীর চাপকে কেন্দ্র করে কোন ফিটনেসবিহীন গাড়ি যেন সড়কে চলাচল না করে সেজন্য জেলা প্রশাসকের টিম কাজ করবে।

বরিশাল বিআরটিএ পরিচালক মো. জিয়াউর রহমান ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার জিহাদুর কবির জানিয়েছেন, সড়কে লক্কড়-ঝক্কড় বাস চলাচলের কোনো সুযোগ নেই। যদি কেউ এমনটা করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বরিশাল কেন্দ্রীয় নতুল্লাবাত বাস টার্মিনাল ও রুপাতরী বাস টার্মিনাল থেকে অভ্যন্তরীণ এবং দূরপাল্লা রুটে প্রায় সহস্রাধিক বাস চলাচল করে। উৎসবের সুযোগে কোনো ফিটনেসবিহীন বাস সড়কে যেন চলাচল করতে না পারে এমনটাই প্রত্যাশা সাধারণ মানুষের।

ইএইচ