১ যুগ পর পরিবারের খোঁজ মিললো কিবরিয়ার

আমার সংবাদ ডেস্ক: প্রকাশিত: এপ্রিল ৬, ২০২৪, ১১:৫৮ এএম
১ যুগ পর পরিবারের খোঁজ মিললো কিবরিয়ার

পৃথিবীতে যদি কোন সন্তান পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন বা নিখোঁজ হয়ে যায় তাহলে সেই পরিবার বলতে পারে তার যন্ত্রণা কতটুকু। পরিবারের একজন সদস্য নিখোঁজ হওয়ার কারণে যে যন্ত্রণা হয় তা আমরা সবাই জানি।

তাকে ফিরে পাওয়ার আনন্দটা তা ভাষায় প্রকাশ করা যায় না। ঠিক কিবরিয়ার বেলাতেও ব্যতিক্রম নয়। 
কিবরিয়া প্রায় ১৩ বছর আগের গাজীপুরে তার ভাইয়ের বাসা থেকে বের হয়ে গিয়ে পরিবার হতে নিখোঁজ হয়ে
যায়। কিবরিয়া যখন অনেক ছোট তখন সে হারিয়ে যায়। তার শুধু গ্রামের নাম মনে ছিল, গ্রামের নাম ‘নান্দিনা মধু’ শুধু এই টুকু বলতে পারতো।

পরিবার সূত্রে জানা যায়, “আপন ঠিকানা” স্টুডিও অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরজে কিবরিয়া উপস্থাপনা অনুষ্ঠান ইউটিউব ও সোস্যাল মিডিয়া ফেসবুক পেজের মাধ্যমে আমাদের হারিয়ে যাওয়া সন্তান মোঃ কিবরিয়ার খোঁজ পাই। তার পরে তাদের সাথে আমরা যোগাযোগ করি। এর প্রেক্ষিতে তারও হারিয়ে যাওয়া ব্যক্তির সম্পর্কে আমাদের পরিবার অন্যান্য সদস্যদের বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করেন।

কিবরিয়া সিরাজগঞ্জ জেলার কামারখন্দ উপজেলার জামতৈল ইউনিয়নের নান্দিনামধূ গ্রামের মৃত জিন্নাহ মন্ডল ও মোছাঃ হাছনা বেগম দম্পতি ছোট ছেলে।

অনলাইন সূত্রে জানায় যায়, স্টুডিও অফ ক্রিয়েটিভ আর্টস লিমিটেডের প্রতিষ্ঠাতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরজে কিবরিয়া সফলতার সাথে মানুষকে তাদের পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত করার কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০০ জনেরও বেশি মানুষকে তাদের পরিবারের সাথে পুনর্মিলন করিয়াছেন।
শৈশবে নিখোঁজ হওয়া ব্যক্তিদের এবং তাদের সদস্যদের হারিয়ে যাওয়া পরিবারের সাথে ভিডিও তৈরি করেন এবং পরিবারের সাথে পুনরায় মিলিত হওয়ার জন্য তাদের পিতামাতা এবং পরিবারের সদস্যদের নাম এবং কিছু স্মৃতি ব্যবহার করে থাকেন।

হারিয়ে যাওয়া কিবরিয়া সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, আমি যখন ছোট তখন আমার ভাই ঢাকায় চাকুরি করতেন সেখানে আমার ভাইয়ের ছোট মেয়েকে দেখাশোনা করার জন্য আমাকে নিয়ে এসেছিলেন। তারা দু’জনেই গার্মেন্টস চাকুরি করতেন। প্রায় রাতেই তারা বাড়িতে এসে ঝগড়া করতো। আমাকে একটু বকাঝকা করতো। বকাঝকা করায় আমি বাসা থেকে বের হইয়ে বাসস্ট্যান্ড গিয়ে বাসে ছাদে চড়ে বাড়িতে আসার চেষ্টা করলে ব্যর্থ হয়ে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ি।

দীর্ঘ এক যুগ পরে বন্ধুদের সহযোগিতায় ও আপন ঠিকানা ইউটিউব ও টিকটকের মিডিয়ার মাধ্যমে পরিবারের খোঁজ মিললে আমাকে পরিবারের সদস্যরা বাড়িতে নিয়ে আসে। বর্তমানে এখন আমি
বাড়িতে অবস্থান করছি।

বিআরইউ