ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মামলার প্রধান আসামির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

বরগুনা প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ১৯, ২০২৪, ০৮:৩৮ পিএম
ইউপি চেয়ারম্যানের সঙ্গে মামলার প্রধান আসামির আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

বরগুনার তালতলী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন মিঠু ও পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদারের পর এবার পর্নোগ্রাফি মামলার বাদী নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চুর সঙ্গে প্রধান আসামির আপত্তিকর একাধিক ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে। এতে দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। দ্রুত দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন।

জানা গেছে, তালতলী উপজেলার নিশানবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়া এক তরুণীর বিরুদ্ধে মোবাইলে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেয়ার অভিযোগ এনে গত ১২ এপ্রিল তালতলী থানার পর্নোগ্রাফি আইনে মামলা দায়ের করেন।

এতে ওই তরুণী এবং তার সহযোগী জাহিদুল ইসলাম সবুজ ফকিরকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় বরগুনা ডিবি পুলিশ ওই তরুণী ও তার সহযোগীকে গত শুক্রবার গ্রেপ্তার করে।

এবার এ মামলার বাদী ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু মিয়ার সঙ্গে মামলার প্রধান আসামি ওই তরুণীর একাধিক আপত্তিকর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়েছে।

শুক্রবার বিকালে এ ভিডিও ভাইরাল হয়। ধারণা করা হচ্ছে, একটি লঞ্চের কেবিনে এ ভিডিও করা হয়েছে। ৩৫ সেকেন্ডের একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চেয়ারম্যান ওই তরুণীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে অন্তরঙ্গ কাজ করছেন এবং নিজের ইচ্ছায় ভিডিও করছেন।

আরেকটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, চেয়ারম্যান নিজের ইচ্ছায় ওই তরুণীর আপত্তিকর ভিডিও করছেন।

এর আগে এ মামলার আসামি ওই তরুণীর সঙ্গে মামলার প্রধান সাক্ষী উপজেলা আওয়ামী লীগ সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক পঁচাকোড়ালিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক হাওলাদার ও দ্বিতীয় সাক্ষী উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক মিঠুর ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হয়।

এমন ভিডিও ক্লিপ ভাইরাল হওয়ায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও নিন্দার ঝড় বইছে। এ ঘটনায় দলীয় নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ তার শাস্তি দাবি করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিশানবাড়িয়া ইউনিয়নের কয়েকজন বলেন, চেয়ারম্যানের এমন ঘৃণিত কর্মকাণ্ড দেখার মতো নয়। গ্রামগঞ্জের সকল মানুষের মোবাইলে মোবাইলে ছড়িয়ে পরেছে এমন জঘন্য ভিডিও। এ ঘটনার সঠিক বিচার হওয়া প্রয়োজন।

মামলার বাদী নিশানবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান ড. কামরুজ্জামান বাচ্চু আমার সংবাদকে বলেন, একটি চক্র ষড়যন্ত্র করে সুপার এডিটের মাধ্যমে এমন ভিডিও করে আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করতে এমন কাজ করছেন।

তালতলী থানার ওসি কাজী শহিদুল ইসলাম খাঁন বলেন, বিষয়টি জেনেছি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।  
এদিকে বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু বলেন, ঘটনার সত্যতা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয় এমন কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

বরগুনা জেলা প্রশাসক মোহা. রফিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। সঠিক অভিযোগের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।  

ইএইচ