কিশোরগঞ্জে ডাবের দাম ১২০ টাকা!

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি: প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২৪, ০৫:৪২ পিএম
কিশোরগঞ্জে ডাবের দাম ১২০ টাকা!

কিশোরগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম এলাকা কালিবাড়ি মোড়ে ডাব বিক্রি করছিলেন তিন ব্যবসায়ী। এ সময় এক ডাব ব্যবসায়ীকে এক ক্রেতা এসে দুইটি ডাব দিতে বলেন। ডাব বিক্রেতা ডাব কেটে ব্যাগে দিয়ে দেন। ডাব হাতে নিয়ে এবার ডাবের দাম কত দিতে হবে? জানতে চান ক্রেতা। এবার দাম শুনে হতবাক হয়ে যান। দুইটি ডাবের দাম চাওয়া হয় ২৪০ টাকা।

এ নিয়ে ডাব ক্রেতা আলামিন বলেন, আমি এখানকারই বাসিন্দা। হঠাৎ করেই তীব্র গরমে বাসায় একজনের পাতলা পায়খানা হয়েছে। আমি ভেবেছিলাম ডাবের দাম ৬০-৭০ টাকা হবে। ১২০ টাকা পিস ডাব! কি বলব, ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। বাধ্য হয়ে একটা ডাব নিলাম। দুটো ডাব কেনার মতো অবস্থা নেই। এবার কথা হয় ডাব বিক্রেতার সঙ্গে।

তিনি বলেন, কিছুদিন আগেও ডাবের এত চাহিদা ছিল না। এখন গরমও অনেক পড়েছে।তাই ডাবের চাহিদাও বেড়েছে।আমরা ৯০ টাকা থেকে ১০০ টাকা করে এভারেজে ডাব কিনি। তাই বড় ডাব গুলি ১১০-১২০ টাকায় বিক্রি করি। আর ছোট গুলি ৯০-১০০ টাকায় বিক্রি করছি।বেশি দামে ডাব কিনতে হচ্ছে। এ কারণে বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

তিনি আরো বলেন, আমার কাছে তিন কোয়ালিটির ডাব আছে- ১২০ টাকা,১০০ টাকা আর ৯০ টাকা। আরেক ডাব বিক্রেতা সুরুজ আলী। তিনি বলেন, বড় ডাব তিনি ১২০ টাকা পিস, মাঝারিটা ১০০ থেকে ৯০ টাকা আর ছোটটা ৯০ থেকে ৮০ টাকা দামে বিক্রি করছেন।জানা যায়, চৈত্রের খরতাপে পুড়তে থাকা শ্রমজীবীদের ডাব খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসাকরা। তাই শহরের বিভিন্ন এলাকায় ওষুধের পাশাপাশি ডাবের ব্যবসাও বেশ জমজমাট। কিন্তু ডাব কিনতে গিয়ে দিশেহারা রোগী ও রোগীর স্বজনরা। শহরের কালিবাড়ি,কাচারিবাজার সহ বিভিন্ন এলাকায় অন্তত ১০ জন ডাব বিক্রেতার দেখা মেলে। যাদের কেউ অস্থায়ী ভ্যানে আবার কেউ স্থায়ী দোকানে ডাব বিক্রি করছেন। বরাবরের মতোই এখানে ফলের সঙ্গে ডাবের দামও বেশ চড়া।

শনিবার এলাকায় এক পিস ডাব ১২০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি করতে দেখা গেছে। যেখানে রোগীর কথা চিন্তা করে বাধ্য হয়েই বেশি দামে ডাব কিনছেন ক্রেতারা।

তবে এ বিষয়ে একাধিক সূত্র বলছে, পাইকারি পর্যায়ে ডাবের দাম বৃদ্ধি পেলেও এতো অস্বাভাবিকভাবে বাড়ে নি। পাইকারিতে ১০০ টাকার নিচেই ডাব কেনা-বেচা হচ্ছে।খুচরা পর্যায়ে তা ১২০ টাকায় যাওয়ার যৌক্তিকতা নেই।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কিশোরগঞ্জ কার্যালয়ের সহকারি-পরিচালক হৃদয় রঞ্জন বণিক বলেন, ‍‍`ডাব কৃষিপণ্য। এটা কীভাবে এত দামে বিক্রি হয় বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলব‍‍`।

বিআরইউ