উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দৃশ্যমান হচ্ছে বিভক্তি

কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি প্রকাশিত: এপ্রিল ২৯, ২০২৪, ১২:১৫ পিএম
উপজেলা পরিষদ নির্বাচন: দৃশ্যমান হচ্ছে বিভক্তি

ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিন প্রার্থী।

তাদের মধ্যে ২ জনই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নির্বাচনকে সামনে রেখে এসব প্রার্থীর পক্ষে বিভক্ত হয়ে পড়ছেন দলীয় নেতাকর্মীরা। সবচেয়ে বেশি বিভক্ত হয়েছেন সদর আসনের বর্তমান এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি এবং জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু সমর্থিত প্রার্থীদের কেন্দ্র করে। আর এই দুই প্রার্থীর পক্ষ-বিপক্ষ নিয়ে দলীয় নেতাকর্মীদের অবস্থান দৃশ্যমান হয়েছে।

স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নির্বাচনে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেনের।

জানা যায়, কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৮ মে। এ নির্বাচনে কাচ পিরিচ প্রতীকে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান মামুন আল মাসুদ খান। তিনি সদর আসনের সাংসদ ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে পরিচিত।

অপরদিকে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন মোটরসাইকেল প্রতীকে চেয়ারম্যান প্রার্থী। তিনি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপির আপন চাচাতো ভাই সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর ঘনিষ্ঠজন।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ঘিরে কিশোরগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি প্রকাশ্যে বর্তমান চেয়ারম্যান মামুনের পক্ষে তার অবস্থান নেননি। তবে তার অনুসারী হিসেবে পরিচিত দলীয় নেতাকর্মীদের বড় একটি অংশ প্রকাশ্যে মামুনের পক্ষে মাঠে নেমেছেন।

এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু মটরসাইকেল প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী আওলাদ হোসেনের পক্ষে প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছেন। বিভিন্ন সভা সমাবেশেও অংশ নিচ্ছেন।

তাই সদর আসনের বর্তমান এমপি ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও জেলা আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটুর সমর্থিত দুই প্রার্থী নিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে দলীয় নেতাকর্মীরা।

এ বিষয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট এম এ আফজল বলেন, উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্দিষ্ট কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার দলীয় কোন নির্দেশনা নেই। তবে জাতীয় নির্বাচনেই এখানে দলীয় বিভক্তি দেখা দিয়েছিল। এখন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনেও একই অবস্থা দেখা দিয়েছে।

ইএইচ