ঈশ্বরগঞ্জে মাটি খুঁড়ে মিলল হাঁড়ি ভর্তি রৌপ্যমুদ্রা

ঈশ্বরগঞ্জ (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৪, ০৬:১৮ পিএম
ঈশ্বরগঞ্জে মাটি খুঁড়ে মিলল হাঁড়ি ভর্তি রৌপ্যমুদ্রা

টিউবওয়েলের পাইপ বসানোর জন্য মাটি খুঁড়ছিলেন এক শ্রমিক। কয়েকফুট খোঁড়ার পর শক্ত কিছু একটার অস্তিত্ব টের পান ওই শ্রমিক। কৌতূহলবশত আরেকটু খুঁড়তেই কোদালের আঘাতে ভেঙে যায় মাটির হাঁড়িটি। বেরিয়ে আসে হাঁড়ি ভর্তি রৌপ্যমুদ্রা।

বুধবার সকালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ পৌর এলাকার কাকনহাটি গ্রামের অটোরিকশাচালক সবুজ মিয়ার বাড়িতে সন্ধান মিলে হাঁড়িভর্তি এসব রৌপ্যমুদ্রার।

সরেজমিনে দেখা যায়, মাটির নিচে থেকে ‘গুপ্তধন’ পাওয়ার খবরটি মুহূর্তের মধ্যেই এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে। এরপর তা দেখতে আশেপাশেসহ বিভিন্ন এলাকার লোকজন এসে অটোরিকশাচালক সবুজ মিয়ার বাড়িতে ভিড় জমানো।

এদিকে খবর পেয়ে ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মুদ্রাগুলো উদ্ধার করেন। পরে তারা রৌপ্যমুদ্রাগুলো গণনা করে ৭৭টি মুদ্রা জব্দ করে থানায় নিয়ে যায়। উদ্ধার হওয়া ওইসব মুদ্রার গায়ে খোদাই করে লেখা ছিল উর্দু ও আরবি ভাষা। প্রত্যেক মুদ্রার ওজন প্রায় ১১ গ্রাম।

বাড়ির মালিক অটোরিকশাচালক সবুজ মিয়া বলেন, আমি গরিব হতে পারি, কিন্তু লোভী নই। আর উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলো সরকারের সম্পদ। সরকারি সম্পদের ওপর লোভ চরম অপরাধ। তবে আমি নিজেকে খুবই ভাগ্যবান মনে করছি, কেননা শ্রমিকরা আমার বাড়িতে মাটি খুঁড়ে এগুলো পেয়েছে।

স্থানীয় বাসিন্দা ও সাবেক ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবুল কাশেম তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমিও ছুটে আসি। এরপর সবগুলো মুদ্রা একত্রে করে গুণে দেখেছি সেখানে ৭৭টি প্রাচীন রৌপ্যমুদ্রা। এরপর পুলিশের লোকজন আসলে আমি মুদ্রাগুলো তাদের হাতে বুঝিয়ে দেই।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মাজেদুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রৌপ্যমুদ্রাগুলো উদ্ধার করেছে। উদ্ধারকৃত মুদ্রার সংখ্যা ৭৭টি।

উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইকবাল হোসেন বলেন, থানা পুলিশের মাধ্যমে মাটি খুঁড়ে পাওয়া রৌপ্যমুদ্রাগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মুদ্রাগুলো জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতাত্ত্বিক অধিদপ্তরে জমা দেওয়া হবে।

ইএইচ