কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন মোটরসাইকেল প্রতীকের প্রার্থী শহীদ ইয়াকুব আলীর সন্তান সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আওলাদ হোসেন। তিনি পেয়েছেন ৪৪ হাজার ৯৪২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মামুন আল মাসুদ খান কাচ পিরিচ প্রতীকে পেয়েছেন ৪২ হাজার ১৫৪ ভোট।
বুধবার রাত সাড়ে ১১টায় উপজেলা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু রাসেল।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন রিফাত উদ্দিন আহমেদ বচ্চন। তিনি উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৫ হাজার ৫৭২ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি মোখলেছুর রহমান মিতুল চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২১ হাজার ১৯৯ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পুনরায় নির্বাচিত হয়েছেন মাসুমা আক্তার। তিনি হাস মার্কায় পেয়েছেন ৫৪ হাজার ৫৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি তাছলিমা সুইটি ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ৩২ হাজার ৫৭৪ ভোট।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সদর উপজেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৩ লক্ষ ৫৫ হাজার ৮১৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ৭৯ হাজার ৬৩২ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ৭৬ হাজার ১৮৩ জন। তৃতীয় লিঙ্গের ভোটার ছিল ৩ জন। সদর উপজেলার মোট ভোটকেন্দ্র ১২৭টি।
নবনির্বাচিত সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আওলাদ হোসেন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমার এই বিজয় সদর উপজেলাবাসীর বিজয়। আমি সকল ভোটারের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে এই উপজেলার উন্নয়নে এবং এই উপজেলার সম্মানিত নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এদিকে পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী এমদাদুল হক জুটন। তিনি পেয়েছেন ২৮ হাজার ৭৩৮ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি রফিকুল ইসলাম রেণু মোটরসাইকেল প্রতীকে পেয়েছেন ২৭ হাজার ৭৯১ ভোট।
বুধবার রাতে উপজেলা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার মো. আবুল কালাম আজাদ।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন একেএম ফজলুল হক বাচ্চু। তিনি তালা প্রতীকে পেয়েছেন ২৬ হাজার ২১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি আতাউর রহমান সোহাগ উড়োজাহাজ প্রতীকে পেয়েছেন ২৩ হাজার ১৮৭ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন শামসুন্নাহার বেগম। তিনি কলস মার্কায় পেয়েছেন ৪৮ হাজার ৯৬২ ভোট।তা র নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ললিতা বেগম ফুটবল প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৮৩ ভোট।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোট ভোটার ২ লক্ষ ২৪ হাজার ৬৬৯ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লক্ষ ১২ হাজার ৬৬৫ জন। মহিলা ভোটার ১ লক্ষ ১২ হাজার ৪ জন। পাকুন্দিয়া উপজেলায় মোট কেন্দ্র ছিল ৮৫টি।
নবনির্বাচিত পাকুন্দিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এমদাদুল হক জুটন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিজয়ে আমি সকল ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ। আগামী দিনে এই উপজেলার উন্নয়নে এবং এই উপজেলার সম্মানিত নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে যাবো।
এদিকে, হোসেনপুর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে পুনরায় চেয়ারম্যান পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন আনারস প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ সোহেল। তিনি পেয়েছেন ২৩ হাজার ৯৬৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ হালিম হেলিকপ্টার প্রতীকে পেয়েছেন ১৭ হাজার ১৭৪ ভোট।
বুধবার রাতে উপজেলা উপজেলা পরিষদ হলরুমে আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা করেন উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার উত্তম কুমার দাস।
ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয়ী হয়েছেন আল আমিন অপু। তিনি টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৩৭ হাজার ৫৪১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি শফি উদ্দিন সরকার বাচ্চু চশমা প্রতীকে পেয়েছেন ২০ হাজার ৯১২ ভোট।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছেন ছাবিয়া পারভিন জেনি। তিনি কলস মার্কায় পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৫২৫ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি সেলিনা আক্তার হাস প্রতীকে পেয়েছেন ১৩ হাজার ৯৪০ ভোট।
সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, হোসেনপুর উপজেলার মোট ভোটার ১ লক্ষ ৬৬ হাজার ১৬৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৮৫ হাজার ৫৫৬ জন। মহিলা ভোটার ৮০ হাজার ৬১১ জন। হোসেনপুর উপজেলায় মোট কেন্দ্র ৫৯টি।
পুনরায় নির্বাচিত হোসেনপুর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ সোহেল এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এই বিজয়ে আমি সকল ভোটারদের কাছে কৃতজ্ঞ। বিগত দিনের মত আগামী দিনেও এই উপজেলার উন্নয়নে এবং এই উপজেলার সম্মানিত নাগরিকদের কল্যাণে কাজ করে যাব।
জেলা নির্বাচন ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মোরশেদ আলম বলেন, কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়াও ভোটারের উপস্থিতি ছিল সন্তোষজনক।
ইএইচ